সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের মূল আলোচ্যসূচি: সংসদের শীতকালীন অধিবেশন ২০২৫ আজ শুরু হয়েছে। এবারের প্রধান ইস্যু হল SIR, যা নিয়ে বিরোধী দলগুলো বিতর্ক চায়। এছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা, বায়ু দূষণ এবং বন্দে মাতরম নিয়েও সংসদ উত্তাল হতে পারে। 

সংসদের শীতকালীন অধিবেশন ২০২৫: আজ, ১ ডিসেম্বর থেকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে। ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলা এই অধিবেশনে ১৫টি বৈঠক হওয়ার কথা। প্রথম বৈঠক থেকেই রাজনৈতিক সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। এবারের অধিবেশন রাজনীতি ও নীতির অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে দিয়ে চলবে। স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) ছাড়াও অধিবেশন চলাকালীন জাতীয় নিরাপত্তা, পরিবেশ এবং অর্থনৈতিক সংস্কার সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্ক হবে। এই অধিবেশন বিতর্কে ভরপুর থাকবে। জেনে নিন কোন কোন বিষয়ে সংঘাত হতে পারে। 

SIR নিয়ে রাজনৈতিক সংঘাত

এই অধিবেশনের সবচেয়ে বড় বিতর্ক হল SIR (স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন)। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস (TMC), সপা এবং DMK-এর অভিযোগ, এই প্রক্রিয়াটি নির্বাচনী রাজ্যগুলিতে পক্ষপাতদুষ্ট এবং সন্দেহজনক। কংগ্রেস এবং আরও কিছু দলের মতে, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলা হচ্ছে। অন্যদিকে, সরকারের দাবি, এই কাজটি সংবিধান এবং নির্বাচন কমিশনের নিয়মিত প্রক্রিয়ার অধীনেই করা হচ্ছে। বিরোধীরা অধিবেশনে SIR নিয়ে অবিলম্বে আলোচনার দাবি জানালেও সরকার আপাতত তা সীমিত রাখতে চায়।

দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে বিতর্ক

সম্প্রতি লাল কেল্লার কাছে বিস্ফোরণের ঘটনা সংসদে জাতীয় নিরাপত্তাকে একটি বড় ইস্যুতে পরিণত করেছে। বিরোধীরা এই বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা চায়, যেখানে দেশের নিরাপত্তা, গোয়েন্দা ব্যবস্থা এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। সরকারের মতে, নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা নিয়ম মেনেই হবে, তবে এটিকে দৈনন্দিন কার্যকলাপের সমালোচনায় পরিণত হতে না দেওয়ার চেষ্টা করা হতে পারে।

দিল্লির বায়ু দূষণ এবং AQI

দিল্লি এবং উত্তর ভারতে বায়ু দূষণ একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাংসদরা আলোচনা করবেন যে বর্তমান পদক্ষেপগুলি যথেষ্ট নয় এবং বায়ু দূষণের উপর একটি ठोस, সময়োপযোগী এবং জাতীয় স্তরের পরিকল্পনা তৈরি করা উচিত। এছাড়া, ধানের খড় পোড়ানো, শিল্প নিঃসরণ এবং যানবাহন থেকে দূষণও আলোচনার অংশ হতে পারে।

বন্দে মাতরম নিয়ে বিতর্ক

সংসদে জাতীয় সঙ্গীত বন্দে মাতরমের ১৫০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিশেষ বিতর্ক হবে। সরকারের দাবি, ১৯৩৭ সালে কিছু পঙক্তি বাদ দেওয়ায় বিভাজনের বীজ বপন করা হয়েছিল। বিরোধীরা এটিকে মূল বিষয় থেকে মনোযোগ সরানোর একটি কৌশল বলে মনে করছে। বিতর্কের সময় এই বিষয়টি আদর্শগত এবং ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে বেশ চর্চায় থাকবে।

আর্থিক ও অর্থনৈতিক বিল

অধিবেশনে সরকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ করেছে। পারমাণবিক শক্তি বিল ২০২৫ (Atomic Energy Bill 2025) পারমাণবিক শক্তি ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগ আনার চেষ্টা করবে। বীমা আইন সংশোধনী বিল ২০২৫ (Insurance Laws Amendment Bill 2025)-এ FDI সীমা বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী পুঁজি আকর্ষণ করতে পারে। আইবিসি সংশোধনী বিল ২০২৫ (IBC Amendment Bill 2025)-এর উদ্দেশ্য হল দেউলিয়া মামলার নিষ্পত্তি দ্রুত করা এবং ঋণদাতাদের অধিকার শক্তিশালী করা। এই বিলগুলি অর্থনৈতিক সংস্কার এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।