সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ১২টি বিল নিয়ে আলোচনা হবে। এর মধ্যে, চণ্ডীগড়ের প্রশাসনকে রাষ্ট্রপতির সরাসরি নিয়ন্ত্রণে আনার বিলটি বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
সংসদের শীতকালীন অধিবেশন ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে। তার আগে, নতুন বিল নিয়ে আলোচনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার আজ সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে। এই বৈঠক এবং আসন্ন সংসদ অধিবেশন চণ্ডীগড় সংক্রান্ত বিলের কারণে অত্যন্ত বিতর্কিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে কংগ্রেস, অকালি দল সহ পাঞ্জাবের দলগুলো এই বিলের বিরোধিতা করছে।
এই শীতকালীন অধিবেশনের জন্য মোট ১২টি বিল তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি নতুন বিল এই অধিবেশনে পেশ করা হবে। নতুন বিলগুলির মধ্যে রয়েছে পারমাণবিক শক্তি ক্ষেত্রকে বেসরকারি সংস্থাগুলির জন্য উন্মুক্ত করা, উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন পরিবর্তন এবং চণ্ডীগড়ের প্রশাসনকে বিধানসভাহীন অন্যান্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মডেলে পরিবর্তন করার মতো পরিকল্পনা।
শুধু তাই নয়, বীমা খাতে সংশোধন, শেয়ার বাজারের নিয়মে নতুনত্ব এবং জাতীয় মহাসড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণের নিয়ম সহজ করার মতো প্রস্তাবও এই বিলগুলিতে রয়েছে। এর সাথে, ১৩১তম সংবিধান সংশোধনী বিলটি বিশেষভাবে মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
চণ্ডীগড় বিল সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- চণ্ডীগড়কে সংবিধানের ২৪০ নং ধারায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব।
- এটি অন্তর্ভুক্ত হলে, আন্দামান, লাক্ষাদ্বীপ, পুদুচেরি (বিধানসভা নিষ্ক্রিয় হলে) এর মতো বিধানসভাহীন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির আইন ও প্রশাসনের মতো চণ্ডীগড়ও পরিবর্তিত হবে।
- এই সংশোধনের মাধ্যমে ভারতের রাষ্ট্রপতি সরাসরি চণ্ডীগড়ের প্রশাসনের জন্য আইন প্রণয়ন করতে পারবেন।
রাজনৈতিক বিরোধিতা:
- কংগ্রেস এবং অকালি দল সহ পাঞ্জাবের অনেক দল এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করছে।
- "চণ্ডীগড়কে পাঞ্জাব থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা" বলে অভিযোগ উঠেছে।
- এই বিলটি সংসদে বড় বিতর্কের জন্ম দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তালিকাভুক্ত প্রধান বিলগুলি:
- পারমাণবিক শক্তি বিল ২০২৫
- জাতীয় মহাসড়ক সংশোধনী বিল
- উচ্চশিক্ষা কমিশন বিল
- বীমা আইন সংশোধনী বিল
- শেয়ার বাজার সূচক বিল
- ১৩১তম সংবিধান সংশোধনী বিল।


