সংক্ষিপ্ত

রামদেব ও বালকৃষ্ণ দুজনই আদালতের কাছে তাদের আচরণের জন্য মিডিয়াতে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া-সহ এক একতরফাভাবে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলাকালীন।

 

পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় আবারও সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য অস্বস্তি বাড়াল যোগগুরু রামদেবের। এদিন সুপ্রিম কোর্ট যোগগুরু রামদেব ও তাঁর সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণকে অ্যালোপ্যাথির অবমাননার বিরুদ্ধে রীতিমত সতর্ক করল। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৩ এপ্রিল। এই এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বজনীন ক্ষমা চাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এদিন রামদেব ও বালকৃষ্ণকে সশরীরে সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা দিতে হয়েছিল। এই নিয়ে বিজ্ঞাপন মামলায় দুই বার রামদেবকে সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা দিতে হল।

রামদেব ও বালকৃষ্ণ দুজনই আদালতের কাছে তাদের আচরণের জন্য মিডিয়াতে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া-সহ এক একতরফাভাবে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলাকালীন। সেখানেই নিজেদেরকে খালাস করার অনুমতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট রীতিমত ধমক দিয়েছিল।

এদিন আদালতে যোগগুরু রামদেব বলেছিল, 'আমরা যে ভুলগুলি করেছি তার জন্য নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাইছি।' তিনি আরও বলেন, 'সে সময় আমরা যা করেছিল সঠিক ছিল না। ভবিষ্যতে আমরা তা মাথায় রাখব।' পাল্টা সুপ্রিম কোর্ট রামদেবকে বলেছে, 'আপনি ততটাও নির্দোষ নন।' আদলত রামদেবের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের জন্য সমালোচনাও করেছে।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি আর বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুন্নাহের ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল। এদিন রামদেবদের উদ্দেশ্যে বেঞ্চ বলেছে, 'আইন সবার জন্য সমান। আপনিযা কিছু করেছেন আপনার অঙ্গীকার ও আমাদের আদেশ মেনেই এই সব করেছেন। আপনি জানেন যে আুনি দুরারোগ্য রোগের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন না।' এর উত্তরে রামদেব বলেন, তারা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। তারপরই বেঞ্চ বলে, 'এটি দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ। আপনার আগের ইতিহাস ক্ষতিকারক। আমরা এটি নিয়ে চিন্তা করব। আপনার ক্ষমা গ্রহণ করব কিনা! আপনি লাগাতার লঙ্ঘন করেছেন। আপনি এতটা নির্দোষ নন যে আপনি এর সম্পর্কে কিছুই জানতে না। আদলতে যা চলছিল- এই মুহূর্তে আমরা বলছি না আপনি এটা থেকে দূরে রয়েছেন।' আদালত আরও বলেছে, রামদেব যে মন থেকে ক্ষমা চাইছেন না তা আদালত বুঝতে পেরেছে। এটা ঠিক নয় বলেও জানিয়েছেন।

এর আগে ১০ এপ্রিল এই মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই সময় রামদেব ও বালকৃষ্ণের নিঃশর্ত ক্ষমা খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি আদালত বারবার বলেছেন, রামদেব যা করছে তা ইচ্ছেকৃতভুলের সামিল।