সংক্ষিপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট গত মাসে পতঞ্জলিকে সংস্থার পণ্য ও ওষুধগুলির কার্যকারিতাা দাবি করে যে আশ্বাস দিয়েছে তা লঙ্ঘন করার জন্য ধমক দিয়েছিল।

 

যোগগুরু রামদেব তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের কারণে সুপ্রিম কোর্টের অবমাননা হয়েছে। সেই অবমাননার নোটিশের জবাব দিতে ব্যার্থ হয়েছে পতঞ্জলি। সেই কারণেই পতঞ্জলির বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব দেখিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি রামদেবকে তলব করেছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি আহসানউদ্দিনের বেঞ্চে উঠেছিল পতঞ্জলির মামলা। পতঞ্জলির প্রধান আচার্য বানকৃষ্ণকেও তলব করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট গত মাসে পতঞ্জলিকে সংস্থার পণ্য ও ওষুধগুলির কার্যকারিতাা দাবি করে যে আশ্বাস দিয়েছে তা লঙ্ঘন করার জন্য ধমক দিয়েছিল। সেই সময়ই আদালত পতঞ্জলি ও বালকৃষ্ণকে নোটিশ জারি করেছিল। পাশাপাশি কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা শুরু হবে না তাও জানতে চেয়েছিল। এখানে উল্লেখযোগ্য যে পতঞ্জলি সুপ্রিম কোর্টের আগের আদেশ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেও কোনও প্রতিক্রিয়া দাখিল করেনি। সেই প্রসঙ্গ তুলে আদালত এদিন বলেছে, 'আপনি এখনও আপনার প্রতিক্রিয়া দখিল করেননি কেন? আমরা পরবর্তী শুনানির সময়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালকতে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিচ্ছি।'

আদালতের আদেশে বলা হয়েছে যোগগুরু বাবা রামদেব ও বালকৃষ্ণ দুজনকেই আদালতে তলব করা হয়েছে। দুজনেই প্রাথমিকভাবে ওষুধ ও প্রতিকার আইনের ৩ ও ৪ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করেছে। এই ধারাতেই ওষুধগুলি বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করে। এদিনই আদালত একই সঙ্গে জানতে চেয়েছে কেন পতঞ্জলির সহপ্রতিষ্ঠাতা রামদেবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।

যদিও এদিন আদালতে পতঞ্জলির হয়ে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী মুকুল রোহতগি। তিনি আদালতের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে বলেন, কী করে রামদেবকে এই মামলায় টেনে আনা হয়েছে। পাল্টা আদালত বলেছে, ' রামদেব আদালতে হাজির হয়েছে এটা তারা পরবর্তী তারিখে দেখতে চায়।' অন্য বিচারপতি আমানুল্লাহ বলেছেন, তাদের আগে হাতপা বাঁধা ছিল, কিন্তু এখন আর নয়। গোটা বিষয়টা প্রবীণ আইনজীবির জানা উচিৎ বলেও দাবি করেছেন তিনি।

আদালত ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) এর একটি পিটিশনের শুনানি করছিল যেখানে রামদেব টিকাদান অভিযান এবং আধুনিক ওষুধের বিরুদ্ধে স্মিয়ার অভিযানের অভিযোগ করেছে।