সংক্ষিপ্ত
আমেরিকার আর্মড সার্ভিসেস কমিটির স্ট্র্যাটেজিক কম্যান্ডার জেনারেল জন ই হাইটেন জানান, প্রশ্ন উঠেছে ভারত কেন এমন করল। ভারত বুঝেছিল মহাকাশ থেকেও বিপদ আসতে পারে। আমার এমনই মনে হয়। তাই নিজেদের রক্ষার্থেই মহাকাশেই আগে থেকে নিজেদের কে সুরক্ষিত করতে এই কাজ ভারত করেছে।
ভারতের এ-স্যাট উৎক্ষেপণের প্রয়োজনীয়তা ছিল। জানাল পেন্টাগন। বৃহস্পতিবার,মার্কিন সেনেটে ভারতের এ-স্যাট উৎক্ষেপণের প্রসঙ্গ উঠলে পেন্টাগন জানায়, ভারত এ-স্যাট ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছিল কারণ বুঝেছিল যে মহাকাশ থেকে বিপদ আসতে পারে।
আমেরিকার আর্মড সার্ভিসেস কমিটির স্ট্র্যাটেজিক কম্যান্ডার জেনারেল জন ই হাইটেন জানান, প্রশ্ন উঠেছে ভারত কেন এমন করল। ভারত বুঝেছিল মহাকাশ থেকেও বিপদ আসতে পারে। আমার এমনই মনে হয়। তাই নিজেদের রক্ষার্থেই মহাকাশেই আগে থেকে নিজেদের কে সুরক্ষিত করতে এই কাজ ভারত করেছে।
এই দিন ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের খারাপ দিকগুলি নিয়েও আলোচনা হয় মার্কিন সেনেটে। তাই জন ই হাইটেন বলেন, এক্ষেত্রে নিজের সুরক্ষার জন্য ভারত করেছে। কিন্তু সর্বপরি এটি মহাকাশের পরিবেশের জন্য খারাপ। যদিও শেষ পর্যন্ত ভারতের পাশেই দাঁড়িয়েছে পেন্টাগন।
মার্চ মাসেই এই উপগ্রহ উৎক্ষেপণের কথা ঘোষণা করেছিল ভারত। কিন্তু এ-স্যাট উৎক্ষেপণের জেরে প্রায় ৪০০ বা তার বেশি টুকরো কক্ষপথে ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের মধ্য়ে ২৪টি টুরকো আকারে বড়। ফলে আন্তর্জাতিক স্তরে মহাকাশ কেন্দ্রের জন্য় এই অবস্থা ক্ষতিকর বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই এই সমস্যার দিকে এখন থেকেই নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করছে মার্কিন সেনেট।
২০০৯ সালে সোভিয়েক একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছিল। যার একটি টুকরো আমেরিকার একটি সক্রিয় উপগ্রহ ধ্বংস করে দিয়েছিল। ২০০৭-এ চিন একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে যার কিছু টুকরো এখনও মহাকাশে ছড়িয়ে রয়েছে। এই অবস্থা খুবই আতঙ্কের। তাই এমন যাতে হতে না থাকে সেই দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হবে।
তবে এর আগেও ভারতের পাশে দাঁডি়য়েছিল পেন্টাগন। ২৭ মার্চ ভারত এ-স্যাট দিয়ে পৃথিবী থেকে ৩০০ কিলোমিটার উপরে অবস্থিত নিজেদেরই একটি মাইক্রো-স্যাটালাইট ধ্বংস করে। এ ফলে ৪০০ টুকরো ছড়িয়ে পড়ে। এই অবস্থাতেই নাসা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলে, এই টুকরোগুলি আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে বিপদের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে। তখনও পেন্টাগন দাবি করেছিল, ওই টুকরো গুলো নিজে থেকেই ৪৫ দিনের মধ্যে বায়ুমণ্ডলে জ্বলেই নষ্ট হয়ে যাবে।