- Home
- India News
- যাত্রীদের টাকা ফেরতের পরও কমছে না ভোগান্তি, সপ্তাহের শুরুতেই দেশজুড়ে বাতিল ইন্ডিগো-র শতাধিক উড়ান
যাত্রীদের টাকা ফেরতের পরও কমছে না ভোগান্তি, সপ্তাহের শুরুতেই দেশজুড়ে বাতিল ইন্ডিগো-র শতাধিক উড়ান
IndiGo Flight Delay: দেশজুড়ে ইন্ডিগো-র উড়ান পরিষেবা বিপর্যস্ত। রবিবার রাত থেকে পরিষেবা কিছুটা স্বাভাবিক হলেও এখনও বাতিল প্রায় ৩০০-র ওপরে বিমান। কী বলছে কর্তৃপক্ষ? বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…

অব্যাহত ইন্ডিগো-র বিমান দুর্ভোগ
সোমবার দেশজুড়ে বিভিন্ন বিমানবন্দরে ইন্ডিগোর প্রায় ৩০০টি উড়ান বাতিল করা হয়েছে। দেশের বৃহত্তম এয়ারলাইনের কার্যক্রম এখনও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারেনি। ফলে টানা সপ্তম দিনও বিপর্যয় অব্যাহত । শুধু তাই নয়, ভারতের বিমান যাত্রার ক্ষেত্রে এমন ব্যাপক সংকট এর আগে কখনও দেখা যায়নি বলে জানানো হয়েছে।
দেশজুড়ে বাতিল বহু বিমান
দিল্লি বিমানবন্দরে আজ ইন্ডিগোর মোট ১৩৪টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে—এর মধ্যে ৭৫টি প্রস্থানকারী এবং ৫৯টি আগত ফ্লাইট। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে ১২৭টি ফ্লাইট বাতিল হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। আহমেদাবাদে ২০টি ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে, আর ভিজাগে বাতিল হয়েছে ৭টি ফ্লাইট। দেশের অন্যান্য বড় বিমানবন্দর—মুম্বই ও কলকাতাতেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। যার ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি আরও বেড়েছে।
ফেরত দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের টাকা
দেশের সর্ববৃহৎ বিমানসংস্থা রবিবার ৬৫০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে। যা দুই দিন আগের এক হাজারের বেশি বাতিল ফ্লাইটের তুলনায় কিছুটা কম। দুর্ভোগ পোহানো যাত্রীদের ইতিমধ্যে ৬১০ কোটি টাকারও বেশি টিকিট ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ।
কবে হবে স্বাভাবিক পরিষেবা?
সম্প্রতি সরকার নির্ধারিত পাইলট বিশ্রামবিধি—ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস (FDTL) সম্পূর্ণভাবে কার্যকর হওয়ার পর ককপিট ক্রুর ঘাটতি দেখা দেয়, যা এই সংকটের প্রধান কারণ। এর ফলে বিপুল সংখ্যক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় দেশের বড় বড় বিমানবন্দরে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার হস্তক্ষেপ করে নিয়ম স্থগিত করে। বিমান সংস্থা জানিয়েছে, ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
পর্যাপ্ত কর্মী না থাকায় ভোগান্তি চরমে
পাইলট ও অন্যান্য কর্মী পর্যাপ্ত না থাকায়, গত ৫ দিনে প্রায় ২০০০-এর বেশি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। তার ফলে, যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। এই বিষয়টি সংসদের অধিবেশনেও উঠে আসে।

