সংক্ষিপ্ত
- দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে সেলফি তোলার একটা হিড়িক চোখে পড়ে
- দুর্ঘটনা ঘটলেই মোবাইল ক্যামেরা নিয়ে যেন তৈরি থাকেন সাধারণ মানুষ
- মানুষকে সাহায্য করার বদলে যেন ছবি তোলাটাই যেন মুখ্য হয়ে ওঠে
- দুর্ঘটনাগ্রস্ত ব্যক্তির সঙ্গে সেলফি তুললে হতে পারে কড়া শাস্তি, সঙ্গে জরিমানাও
কোনও দুর্ঘটনা ঘটলেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে সেলফি তোলার একটা হিড়িক চোখে পড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে। অনেকে আবার কোনও দুর্ঘটনা ঘটলেই মোবাইল ক্যামেরা নিয়ে যেন তৈরি থাকেন। মানুষকে সাহায্য করার বদলে যেন ছবি তোলাটাই মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। এর জন্য একদিকে যেমন দুর্ঘটনা কবলিত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা অসম্ভব হয়ে ওঠে, তেমনই আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াতেও দেরি হয়ে যায়, যার ফলে মুমূর্ষু ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতেও দেরি হয়।
এবার থেকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে সেলফি রাখলে বা দুর্ঘটনার পর সেই স্থানের ছবি তুললে, সেই ব্যক্তিকে আটক করে রাখা হবে এবং সেইসঙ্গে মোটা টাকা জরিমানাও করা হতে পারে বলে জানিয়েছে নয়ডা পুলিশ। নয়ডার পুলিশ সুপার অনিল কুমার ঝা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা কবলিত অঞ্চলে সাধারণ মানুষের ছবি তোলার যে প্রবণতা তার জেরে নাকাল হতে হত উদ্ধারতকারী দলকে। এই ছবি তোলার জন্য অনেকরকম অসুবিধার মধ্য পড়তে হয় তাঁদের। পুলিশ আধিকারিক এবং অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছাতেও দেরি হয়ে যায়।
পুলওয়ামায় এনকাউন্টারে মৃত চার জঙ্গি, নিখোঁজ দুই পুলিশকর্মী
২০১৯-এর জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে নয়ডায় দুর্ঘটনার পরিমাণ যেভাবে বেড়েছে তার জেরেই নয়ডা পুলিশ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে নয়ডা পুলিশ। এই প্রসঙ্গে অনিল কুমার ঝা আরও বলেন যে, কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে দেখলে প্রথমেই একজন সাধারণ নাগরিকের যা কর্তব্য তা হল, প্রথমে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, কিন্তু তা না করে সেই ঘটনা সকলের মধ্যে ভাইরাল করে দেওয়ার জন্য ক্যামেরা হাতে দাঁড়িয়ে পরে সকলে। এই প্রবণতা হ্রাস করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এবং এর ফলে সমাজের মানুষের মধ্যে মানবিক আবেদন গড়ে উঠবে বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।