সংক্ষিপ্ত
তাঁর হাত থেকে রেল মন্ত্রক সরানোর পর থেকেই রাজ্যসভায় বিজেপির দলনেতা হিসাবে সম্ভাবনা জোরালো হয়ে উঠেছিল পীযূষ গয়ালের। তবে দৌড়ে ছিলেন নির্মলা সীতারমণ এবং ভূপেন্দ্র যাদবও।
বিজেপিতে আরও গুরুত্ব বাড়ল পীযূষ গয়াল-এর। মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ পোর্টফোলিও-র পাশাপাশি বুধবার তাঁকে রাজ্যসভায় বিজেপির নতুন দলনেতা হিসাবে ঘোষণা করা হল। এর আগে বিজেপির রাজ্যসভার দলনেতা ছিলেন থওয়রচাঁদ গেহলট। গত সপ্তাহে তিনি কর্ণাটকের নয়া রাজ্যপাল হিসাবে শপথ নিয়েছেন। তাঁর জায়গায় পীযূষ গয়ালকে এনে বিজেপি মন্ত্রিসভার পাশাপাশি সংসদীয় নেতৃত্বেও তারুণ্যকে প্রাধান্য দিল বলে মনে করা হচ্ছে।
গত রবিবার, রাজস্থানের প্রবীণ বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থওয়রচাঁদ গেহলট কর্ণাটকের ১৯তম রাজ্যপাল হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছেন। ফলে বিজেপির রাজ্যসভার দলনেতার আসনটি ফাঁকা পড়ে ছিল। বুধবার, সেই পদে পীযূষ গয়ালের নাম ঘোষণা করা হয়। দৌড়ে অবশ্য ছিলেন সদ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়া বিশিষ্ট আইনজীবী ভূপেন্দ্র যাদব এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণও।
দৌড়ে ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ
অমিত শাহ-র ঘনিষ্ঠ ভুপেন্দ্র যাদব সদ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন। তিনি দক্ষ সংগঠক হিসেবে পরিচিত। আবার, বহু বছর ধরে বিভিন্ন সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হওয়ার কারণে ভূপেন্দ্র যাদব'কে 'কমিটি ম্যান' বলেও ডাকা হয়। অন্যদিকে নির্মলা সীতারমণকে রাজ্যসভার দলনেতা করলে নতুন নজির গড়তে পারতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখনও পর্যন্ত রাজ্যসভার দলনেতার চেয়ারে কোনও মহিলা আসীন হননি। আর মহিলাদের ক্ষমতায়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
দৌড়ে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবও
আরও পড়ুন - গোটা ভবনটি আসলে মস্ত বড় শিবলিঙ্গ - প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের আগেই চিনে নিন রুদ্রাক্ষ-কে
আরও পড়ুন - গান্ধীদের সঙ্গে বৈঠকে পিকে - আলোচনায় শুধুই কি প্রোজেক্ট সিধু, নাকি 'প্রোজেক্ট ২০২৪'ও
আরও পডড়ুন - উপহারের ঝুলি নিয়ে বারানসীতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী - কী কী রয়েছে, দেখুন ছবিতে ছবিতে
তবে সংসদের এই গুরুত্বপূর্ণ পদে থওয়রচাঁদের উত্তরসূরী হিসাবে বরাবরই গেরুয়া শিবিরের প্রথম পছন্দ ছিল পীযূষ গয়াল। তাঁর হাত থেকে রেল মন্ত্রকের চাপ হালকা করায়, সেই সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়ে উটেছিল। ২০১০ সাল থেকে একটানা রাজ্যসভার সদস্য তিনি। কেন্দ্রীয় সরকারেও রেল, অর্থ, বস্ত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন। বলতে গেলে বিগত দুই বছর ধরেই রাজ্যসভায় বিজেপির দলনেতার ভূমিকা তিনিই পালন করছেন। বিজেডি বা এআইএডিএমকে-র মতো দলগুলি, যারা বিজেপি বা কংগ্রেস - কোনও শিবিরেই নেই, সেই বিরোধী দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করে বিভিন্ন বিল পাস করানোর বিষয়ে তিনি মুখ্য ভূমিকা নিয়েছেন।