সংক্ষিপ্ত

১১ অগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা ৩৮ মিনিট থেকে শুরু হয়েছে শুভ সময়। আর চলবে ১২ অগস্ট সকাল ৭ টা ৫ মিনিট পর্যন্ত। এই শুভ সময় সকল বোনেরা তার ভাইয়ের হাতে রাখি বেঁধে শুভ কামনা করে থাকেন। আর ভাইয়ের নেয় বোনকে রক্ষা করার অঙ্গীকার। আজ সারা দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে রাখি উৎসবে। ধ্বনি দরিদ্র, সাধারণ থেকে সেলেব-- সকলে মেতেছেন উৎসবে। বাদ যাননি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও। 

ভারতীয় সংস্কৃতিতে ভাই বোনের সম্পর্ক উদযাপনের একটি বিশেষ দিন হল রাখি উৎসব। পঞ্জিকা মতে, শ্রাবণ পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় এই উৎসবে। সেই তিথি অনুসারে, ১১ অগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা ৩৮ মিনিট থেকে শুরু হয়েছে শুভ সময়। আর চলবে ১২ অগস্ট সকাল ৭ টা ৫ মিনিট পর্যন্ত। এই শুভ সময় সকল বোনেরা তার ভাইয়ের হাতে রাখি বেঁধে শুভ কামনা করে থাকেন। আর ভাইয়ের নেয় বোনকে রক্ষা করার অঙ্গীকার। আজ সারা দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে রাখি উৎসবে। ধ্বনি দরিদ্র, সাধারণ থেকে সেলেব-- সকলে মেতেছেন উৎসবে। বাদ যাননি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও। 

আজ নিজের বাসভবনে রাখি উদযাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ তাঁর হাতে রাখি বাঁধলেন একাধিক ছোট ছোট বাচ্চা। মোদীর বাসভবনে কর্মরত ঝাড়ুদার, পিয়ন, মালী, ড্রাইভারের মেয়েরা রাখি বাঁধল মোদির হাতে। এবছর সকাল শুভেচ্ছা জানান নরেন্দ্র মোদী। টুইটে লেখেন, ‘রাখি বন্ধনের বিশেষ উপলক্ষ্যে সবাইকে শুভেচ্ছা।’ 

এদিকে এবছর পাকিস্তান থেকে মোদীর জন্য এসেছে রাখি। তাঁর পাকিস্তানী বো কামার মহসিন শেখ রাখি পাঠান প্রধানমন্ত্রী জন্য। সঙ্গে পাঠান ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের জন্য আগাম শুভেচ্ছা। পাঠান একটি চিঠি। যাতে দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী জন্য। 

এদিকে আবার রাখির নকশায় এবার স্থান পেয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। প্রতি বছরই রাখির ডিজাইন নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট চলে। পাখী কিংবা ঠাকুরের মূর্তি স্বস্তিকা কিংবা সুপার হিরোর ছবি তো থাকেই। এবছর বাজারে এসেছে মোদি রাখি। নরেন্দ্র মোদির ছবি সম্বলিত রাখি মিলছে সর্বত্র। আর এই রাখির চাহিদাও নাকি রয়েছে তুঙ্গে। 

প্রতি বছরই নতুন নতুন রাখির ডিজাইন দেখা যায়। অনেক সময় তাতে থাকে রাজনৈতিক রঙও। পদ্মফুল কিংবা ঘাসফুলের ছবি দেওয়া রাখির সঙ্গে সকলেই পরিচিত। এবার বাজারে এসেছে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ছবি দেওয়া রাখি। যেমন দেখা মিলেছেন নরেন্দ্র মোদীর ছবি সম্বলিত রাখির তেমনই মিলেছে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া রাখির। 

তবে, নকশা যতই আকর্ষণীয় হোক বিশেষজ্ঞদের মোটেও সমর্থন নেই এতে। তাদের মতে, রাখির মাধ্যমে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন, সম্পর্কের বন্ধন তৈরি হয়। সম্পর্ককে দৃঢ় করতে বাঁধা হয় রাখি। সেই জায়গায় যদি রাজনৈতিক ছাপ থাকে তাহলে বিভেদ সৃষ্টি হতে পারে। সে যাই হোক, আজ দেশের সকল মানুষ মেতেছেন রাখি উৎসব উদযাপনে।
 

আরও পড়ুন- জম্মু কাশ্মীরের রাজৌরিতে সেনা ক্যাম্পে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা,শহিদ ৩ জওয়ান

আরও পড়ুন- 'কালো জামা পরে কালা জাদু চালাতে চেয়েছিল কংগ্রেস'-কড়া আক্রমণ মোদীর

আরও পড়ুন- ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে সেজে উঠবে ইডেন! বিশেষ পরিকল্পনা সিএবি'র