সংক্ষিপ্ত
এদিন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ( Russia-Ukraine war) আবহে আবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) কথা বলবেলন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) সঙ্গে। এই নিয়ে যুদ্ধ শুরুর ১২তম দিনের মধ্যে দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলতে চলেছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি (Volodymyr zelensky) ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi), ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি (Ukraine situation) নিয়ে সোমবার আলোচনা করেছেন। দুই রাষ্ট্রপ্রধান প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে টেলিফোনে কথা বলেন। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রের খবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন রাশিয়া ও ইউক্রেন যে সরসারি আলোচনা করেছে গোটা পরিস্থিতি নিয়ে তার প্রশংসা করেছেন। এদিন আলোচনার সময় স্বভাবতই অগ্রাধিকার পেয়েছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধার প্রসঙ্গে। মোদী ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধার ও নিরাপদ স্থানে পাঠানোর আর্জি জানিয়েছেন বলেও সূত্রের খবর। পাশাপাশি ইউক্রেন যেভাব ভারতীয় নাগরিক বিশেষত শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে যে ভূমিকা নিয়েছে তারও প্রশংসা করেছেন মোদী। সূত্রের খবর এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সুমিতে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিয়ে উদ্ধেগ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তিনি ইউক্রেনের সহযোগিতারও চেয়েছেন।
অন্যদিকে এদিন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ( Russia-Ukraine war) আবহে আবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) কথা বলবেলন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) সঙ্গে। এই নিয়ে যুদ্ধ শুরুর ১২তম দিনের মধ্যে দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলতে চলেছেন। সরকারি সূত্রের খবর এদিন বিকেলের দিকে প্রধানমন্ত্রী ফোন করতে পারে রুশ প্রেসিডেন্টকে।
আগেই তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন। সেইসময়ই তিনি আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেনের সঙ্গে সমস্যা সমাধানের কথা বলেন। অন্যদিকে সরকারি সূত্রের খবর এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কথা বলতে পারেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গেও। একই দিনে দুই বিবাদমান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলবেন মোদী। যা বিশ্বরাজনীতিতে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করেছেন ওয়াকিবহাল মহল।
ইউক্রেনের অভিযোগ রাশিয়া সামরিক অভিযান করে গোটা বিষয়টিকে দাবি করলেও সাধারণ মানুষরা নিষ্কৃতী পাচ্ছে না যুদ্ধ থেকে। রুশ সেনারা আবাসিক এলাকাতেও হামলা চালাচ্ছে। গতকালই রুশ সেনার ক্ষেপণাস্ত্র উড়িয়ে দিয়েছে একটি বেসমারিক বিমানবন্দর। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভারী আর্টিলারি ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হমলার অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেন।
অন্যদিকে মারিউপোল নিয়ে উদ্ধেগ প্রকাশ করেছে ইউক্রেন। তাদের দাবি এই শহরে প্রায় ৬ দিন ধরে রুশ সেনা বাহিনীর স্থানীয় বাসিন্দাদের আটকে রেখেছে। অধিকাংশ মানুষই রুশ হামলার হাত থেকে বাঁচতে বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু সেখানেই খাবার আর জলের সংকট দেখা দিয়েছে। গোটা শহরে বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ আর জল পরিষেবা। রাশিয়ার হামলার কারণে ভেঙে পড়েছে সমস্ত নাগরিক পরিষেবা। এই শহরে শুক্রবার ৫ ঘণ্টার যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করেছিল রাশিয়া। এই সময়ের মধ্যেই সাধারণ নাগরিকদের শহর ছেড়ে পালাতে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু ইউক্রেনের অভিযোগ যুদ্ধ বিরতি ভেঙে রুশ সেনা গোলা-গুলি বর্ষণ করে। তাতে ব্যহত হয়েছে উদ্ধারকাজ। যদিও রাশিয়া উদ্ধারকাজ ব্যহত হওয়ার জন্য ইউক্রেন প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে।
আলোচনা বা যুদ্ধ- যেকোনও কোনও কিছুর মাধ্যমে রাশিয়া ইউক্রেনে (Russian-Ukraine)লক্ষ্য পুরণ করবে। ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়ের ম্যাক্রোঁ ও তুরস্কের প্রধান এদোরগানের সঙ্গে কথা বলার সময় এমনটাই জানিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (ladimir Putin)। প্রবল ধ্বংসলীলা দেখার পরেই ইউক্রেন থেকে পিছিয়ে আসতে রাজি নন পুতিন। এদিন তাঁর কথাতেই তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনের ৩৫১ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। রাশিয় দাবি করেছে ৪৯৮ জন রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। রাষ্ট্র সংঘের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী প্রায় দেড় কোটিরও বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়ে গেছে। পোল্যান্ড, রোমানিয়া, মলদোভার শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে প্রচুর মানুষ। অন্যদিকে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতিবাদ জানানোর জন্য এখনও পর্যন্ত রাশিয়া ১১০০ জনকে আটক করেছে।
ভোটের উত্তর প্রদেশে নৃশংস খুন, বাবাকে কম্বলে মুড়ে আগুন লাগিয়ে দিল ছেলে
পাকিস্তানের নতুন ষড়যন্ত্র, পঞ্জাবের ফিরোজপুর সেক্টরে ড্রোনে করে মাদকের প্যাকেট পাচারের চেষ্টা
প্যালেস্টাইনে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের অস্বাভাবিক মৃত্যু, শোক প্রকাশ করেছেন বিদেশমন্ত্রী