সংক্ষিপ্ত
ভূটানের রাজা প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার অব দ্যা ড্রুক গ্যালপো সম্মান প্রদান করেছেন। ভূটানের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান
লোকসভা ভোট শুরুর আগে ভূটান সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নির্বাচনের আগে এটাই তাঁর শেষ বিদেশ সফরে। পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানান হয়েছে। হাজির ছিলেন ভূটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে। ভূটানের রাজা প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার অব দ্যা ড্রুক গ্যালপো সম্মান প্রদান করেছেন। ভূটানের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পাওয়া প্রথম বিদেশী সরকারের প্রথম হিসেবেই স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম।
ব়্যাঙ্কিং-এর প্রধান্যের ভিত্তি অর্ডার অব দ্যা ড্রুক ব্যালপো আজীবন কৃত্বের অলঙ্করণ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। এটি ভূটানের প্রদান করা সর্বোচ্চ সম্মান। এখনও পর্যন্ত এই পুরস্কার বা সম্মান মাত্র চার জনকে প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী হলেন প্রধান বিদেশী সরকারে প্রধান যাকে ভূটান এই সর্বোচ্চ সম্মান প্রদান করল। এটি দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান। এর আগে ২০০৮ সালে এই সম্মান পেয়েছেন, রানী দাদি আশি কেসাং চোডেন ওয়াংচুক। একই বছর এই সম্মান দেওয়া হয় জে থ্রিজুর তেনজিন ডেনডুপ। ২০১৮ সালে এই সম্মান প্রদান করা হয়েছিল জে খেনপো ট্রুলকু নাগাওয়াং জিগমে চোয়েড্রা। জে খেনপো ভুটানের কেন্দ্রীয় সন্ন্যাসীর প্রধান মঠ।
কী কারণে প্রধানমন্ত্রীকে এই সম্মানঃ
ভূটানের পক্ষ থেকে জানিয়েছে, নরেন্দ্র মোদী জাতীয় , আঞ্চলিক, বিশ্বের নেতৃত্বের এক অসামান্য মূর্ত প্রতীক। তাঁর নেতৃত্বে ভারত বিশ্বের সবথেকে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে। ভারতের প্রাচীন সভ্যতাকে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের একটি গতিশীল কেন্দ্রে রূপান্তরিত করে প্রধানমন্ত্রী মোদী সর্বদাই চেষ্টা করেছেন। পরিবেশ রক্ষা এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ করার জন্য তাঁর প্রতিশ্রুতি ভারতের অগ্রগতিকে সত্যিকার অর্থে বৃত্তাকার করে তোলে। প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্ব ভারতকে রূপান্তরের পথে বসিয়েছে এবং ভারতের নৈতিক কর্তৃত্ব ও বিশ্বব্যাপী প্রভাব বেড়েছে। মোদীর বিদেশনীতির কথা বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিদেশ নীতি দক্ষিণ এশিয়াকে শক্তিশালী করেছে। শংসাপত্রে লেখা হয়েছে, মোদীর নীতির কারণে ভারত-ভূটান পাশাপাশি এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই ভূটান সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভারতের মতই ভূটান সীমান্তেও চিনা তৎপরতা বেড়েছে। তাই কূটনৈতিক দিক থেকে ভূটান সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশ মন্ত্রকের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে থিম্পুকে প্রধানমন্ত্রীর সফর প্রতিবেশী প্রথম নীতিকে গুরুত্ব দিয়ে দ্বিপাক্ষিত সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার প্রচেষ্টা হবে। থিম্মুতে ভারতের সহযোগিতায় নির্মিত একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল ও শিশু চিকিৎসাকেন্দ্রের উদ্বোধনও করবেন নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুনঃ