সংক্ষিপ্ত
মোরবি যাওয়ার আগেই সেখানের পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীও।
গুজরাটের মোরবির মাচ্ছু নদীর ওপর ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ায় এখনও কমপক্ষে ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত শতাধিন মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধারকারে নেমেছে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনা, বায়ু সেনা, দমকল বাহিনী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গুজরাট সফরের মধ্যেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে প্রথম থেকেই উদ্ধেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। রবিবারেই নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন। সোমাবার রাতের তিনি মোরবির পরিস্থিতি নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গান্ধী নগরের রাজভবনে মোরবির পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য একটি বৈঠক করেন। সেখানে তিনি মোরবির ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলেও উল্লেখ করেন। পাশাপাশি উদ্ধার ও ত্রাণ নিয়ে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন তিনি। দুর্ঘটনা সম্পর্কিত সকল দিক নিয়েও আলোচনা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আবারও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে সবরকম সাহায্য পায় তার ওপর জোর দিয়েছেন।
এদিনের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভি, গুজরাটের মুখ্যসচিব ও ডিজিপি, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র বিভাগ ও দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের শীর্ষ আধিকারিকরা। আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদ দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন। আগেই নিজের ত্রাণ তহবিল থেকে দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
মোবরি প্রশাসন সূত্রের খবর সোমবার দিনভর উদ্ধারকাজ চলার পর এখনও পর্যন্ত ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছে। যেসময় ঝুলন্ত সেতুটি ভেঙে পড়ে সেই সময় সেখানে ৪৫০ জনেরও বেশি মানুষ ছিল। অত্যাধিক ভার সহ্য করতে না পেরেই ব্রিজটি ভেঙে পড়ে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি মেরামতির পর নির্ধারিত সময়ের আগেই সেটি জনগণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। সেতুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করে ফিটসার্টিফিকেট ছাড়াই খুলে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে। আর সেই কারণে ঠিকাদার সংস্থার দিকেই অভিযোগে আঙুল উঠেছে।
মোরবি পুরসভার অভিযোগ সেতুটি উদ্বোধনের আগে সংস্থার পক্ষ থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়নি। এনমকি সেতুটির জন্য কোনও ফিটসার্টিফিকেটও দেয়নি পুরসভা। তারপরেও কী করে সেতুটি জনগণের জন্য খুলে দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ মোরবি পুরসভা জানিয়েছে ঠিকাদার সংস্থা নিজেদের উদ্যোগে সেতু জনগণের জন্য খুলে দিয়েছিল। মোরবি পুরসভা সূত্রের খবর সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১৫ বছরের জন্য মোরবি পুরসভা আর অজন্ত নামের একটি বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থার মধ্যে চুক্তি হয়েছিল। অজন্তা সংস্থাটি ওরেভা গ্রুপের অংশ। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ২০৩৭ সাল পর্যন্ত শতাব্দী প্রাচীন সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেতুটি মেরামতির জন্য দীর্ঘ সাত মাস বন্ধ ছিল। ২৬ অক্টোবর গুজরাটি নববর্ষের কারণে সেতুটি খুলে দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের আগেই সেতুটি খুলে দেওয়া হয়েছিল। কারণ সেতুটি ৮-১২ মাস বন্ধ রাখার কথা ছিল।
পরাগ আগরওয়ালের জায়গায় কি নতুন ভারতীয় টুইটারের সিইও ? শ্রীরাম কৃষ্ণানের টুইট ঘিরে জল্পনা বাড়ছে
মৃত্যুপুরী মোরবিতে ১৪৩ বছর পুরনো সেতু ভেঙে মৃত্যু ১৪১, মঙ্গলবার মোরবি যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী
গুজরাটের সেতু দুর্ঘটনার 'কারণ' নিয়ে তোড়পাড় শুরু, গান্ধীনগরের অনুষ্ঠান বাতিল প্রধানমন্ত্রী মোদীর