সংক্ষিপ্ত

  • দুটি আয়ুর্বেদ ইনস্টিটিউট উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর 
  • এটি গুজরাতে অন্যটি রয়েছে রাজস্থানে 
  • বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও আয়ুর্বেদ সেন্টার খুলছে 
     


করোনা মহামারির মধ্যে পঞ্চম আয়ুর্বেদ দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার রাজস্থান ও গুজরাতে দুটি আয়ুর্বেদ ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করেন। আগামী  দিনে যা দেশের প্রাচিন চিকিৎসা পদ্ধতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস অ্যাধনম ঘেবেইয়েসুস। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন সনাতন ও পরিপূরক ওষুধের প্রমাণ, গবেষমা ও সচেতনতা জোরদার করার জন্য ভারতের ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের একটি সেন্টার খুলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে দুটি ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করেন সেদুটি হল গুজরাতের জামনগরের আয়ুর্বেদ শিক্ষণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউ ও রাজস্থানের জয়পুরের জাতীয় আয়ুর্বেদ। আগামী দিনে এই দুটি প্রতিষ্ঠান আরও গুরুপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে। জামনগরের ইনস্টিটিউটটিকে সংসদীয় আইনের মাধ্যমে জাতীয় সংস্থার পরিণত করা হয়েছে। আর জয়পুরের প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অধীনে এনে ইউজিসি গ্রান্টের মাধ্যমে পরিচালিত করার পরিকল্পনা রয়েছে আয়ুষ মন্ত্রকের। দুটি প্রতিষ্ঠানের সূচনা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন যে, আয়ুর্বেদ হল ভারতের প্রাচিন ঐতিহ্য। যার সম্প্রসারণের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মানবতার কল্যাণ। ভারতের এই প্রাচিণ ঐতিহ্য বিশ্বের অন্যান্য দেশকেই সমৃদ্ধ করছে। আর সেই কারণেই গোটা  দেশের গর্ব করা উচিৎ বলেই মনে করেন তিনি। পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদী বলেন প্রাচিন এই চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য ভারতকেই বেছে নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। আগামী দিনে ভারত থেকেই সমস্ত কাজ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ভারতকে এই দায়িত্ব দেওয়ার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন, করোনা মহামারির এই সময় নতুন এই প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। 


সেপ্টেম্বরে সংসদে আইটিআরএ গঠনের জন্য একটি বিল পাশ করা হয়। এই দুটি প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দিয়েছে। সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে আয়ুশখাতে এই স্টেটাস পাওয়া আইটিআরএ- হল প্রথম ইনস্টিটিউট। একটি বিজ্ঞপ্তিতিতে বলা হয়েছে আইটিআরএ আয়ুশ খাতের আইএনআই মর্যাদার অধিকারী প্রথম প্রতিষ্ঠান এবং এটির কোর্সের বিষয়বস্তু ও শিক্ষাগত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি স্বাধীনতা পাবে।