সংক্ষিপ্ত
দিনের শুরুতে কৃষি গবেষণার জন্য কাজ করা আন্তর্জাতিক শস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৫০তম বার্ষিক প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। পরবর্তীতে ১১ শতকের ভক্তি সাধক শ্রী রামানুজাচার্যের স্মরণে ২১৬ ফুট উচ্চতার 'স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি' উন্মোচন করতে শামশাবাদে পৌঁছান তিনি।
শনিবার হায়দরাবাদে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এখানে তিনি শুরুতে কৃষি গবেষণার জন্য কাজ করা আন্তর্জাতিক শস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৫০তম বার্ষিক প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। এর পরে প্রধানমন্ত্রী ১১ শতকের ভক্তি সাধক শ্রী রামানুজাচার্যের (11th century devotional devotee Shri Ramanujacharya) স্মরণে ২১৬ ফুট উচ্চতার 'স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি' (Statue of Equality) উন্মোচন করতে শামশাবাদে পৌঁছান। এখানে তিনি যজ্ঞশালায় প্রার্থনাও করেন। তারপর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে মোদীকে বলতে শোনা যায়, "আজ একদিকে সর্দার সাহেবের স্ট্যাচু অফ ইউনিটি দেশে ঐক্যের শপথের পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে, অন্যদিকে রামানুজাচার্যের স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি সমতার বার্তা দিচ্ছে। এটি একটি জাতি হিসাবে ভারতের বিশেষত্ব। জাতিগত শ্রেষ্ঠত্ব এবং মানবতা-আধ্যাত্মিকতার ধারণার লড়াইয়ে ভারত বিজয়ী হয়েছে"।
একইসাথে এদিন মোদী আরও বলেন, "ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম কেবল তার ক্ষমতা এবং অধিকারের লড়াই ছিল না। এই লড়াইয়ে একদিকে ছিল 'ঔপনিবেশিক মানসিকতা', অন্যদিকে 'বাঁচতে দাও' ভাবনা। এতে একদিকে জাতিগত শ্রেষ্ঠত্ব ও বস্তুবাদের হিস্টিরিয়া ছিল, অন্যদিকে ছিল মানবতা ও আধ্যাত্মিকতার প্রতি বিশ্বাস এবং এই যুদ্ধে ভারত বিজয়ী হয়, ভারতের ঐতিহ্য বিজয়ী হয়।" একইসঙ্গে মোদী বলেন, " এই সাম্যের মূর্তি আমাদের সমতার বার্তা দিচ্ছে। রামানুজাচার্য জিও ভারতের একতা ও অখণ্ডতার এক উজ্জ্বল অনুপ্রেরণা। তিনি দক্ষিণে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তবে তার প্রভাব দক্ষিণ থেকে উত্তর এবং পূর্ব থেকে পশ্চিম সমগ্র ভারতে রয়েছে। আজ রামানুজাচার্য জি বিশাল মূর্তি আমাদের সমতার বার্তা দিচ্ছেন সমতার মূর্তি আকারে। এই বার্তা নিয়ে, 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রয়াস' মন্ত্রে আজ দেশ তার নতুন ভবিষ্যতের ভিত্তি স্থাপন করছে।
আরও পড়ুন- বাড়ছে ভোটের উত্তাপ, পঞ্জাবে মোদী নামে নতুন গানে সাড়া ফেলল বিজেপি
এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আমি নিশ্চিত যে রামানুজাচার্যজির এই মূর্তিটি কেবল আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে না, ভারতের প্রাচীন পরিচয়কেও শক্তিশালী করবে। উন্নয়ন হওয়া উচিত, সেখানে সকলের থাকা উচিত, কোনও বৈষম্য থাকা উচিত নয়। সামাজিক ন্যায়বিচার, বৈষম্য ছাড়াই সবাই পেতে হবে। যারা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে নিপীড়িত, তাদের পূর্ণ মর্যাদার সাথে উন্নয়নের অংশীদার হওয়া উচিত, এই জন্য আজকের পরিবর্তিত ভারত একটি ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা করছে। আজকের বিশ্বে, যখন সামাজিক সংস্কার, প্রগতিবাদের কথা আসে, তখন বিশ্বাস করা হয় যে সংস্কারগুলি শিকড় থেকে দূরে ঘটবে। কিন্তু, যখন আমরা রামানুজাচার্য জিকে দেখি, তখন আমরা বুঝতে পারি যে প্রগতিশীলতা এবং প্রাচীনত্বের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব নেই। উন্নতির জন্য আমাদের শিকড় থেকে দূরে যেতে হবে এমন নয়, তবে আমাদের আসল শিকড়ের সাথে যুক্ত হওয়া, আমাদের আসল শক্তি সম্পর্কে সচেতন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।"
আরও পড়ুন- কোথাও সাজে কাঁচা বাদাম, কোথাও চা বিক্রেতা সরস্বতী, থিমের ছটা জেলাজুড়ে