সংক্ষিপ্ত

শিখ সম্প্রদায়কে টার্গেট করেই মূলত লেখা হয়েছে এই গান। একই সাথে পঞ্জাবের মানুষের জন্য মোদী সরকারের নানা উদ্যোগকেও তুলে ধরা হয়েছে গানের মধ্য দিয়ে। 
 

দেশের বাকি চার রাজ্যের মতো পঞ্জাবেও বেজে গিয়েছে বিধানসভা ভোটের দামামা। এদিকে এবারের ভোট শাসক কংগ্রেসের সঙ্গে জোরদার টক্করে নেমেছে বিজেপি, আম-আদমি পার্টি, অকালি দলেরা। এদিকে এবারের ভোটে কংগ্রেসকে ধরাশায়ী করতে এখন থেকেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে পদ্ম শিবির। এমতাবস্থায় এবার ভোট উপলক্ষ্যে নতুন থিম সং প্রকাশ করল পঞ্জাব বিজেপি (Punjab BJP released new theme song on the occasion of voting)। পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি মূলত প্রচারের জন্যই এই গান প্রকাশ করেছে। এই গানটি গেয়েছেন দলের লোকসভা সদস্য এবং ভোজপুরি অভিনেতা-গায়ক মনোজ তিওয়ারি(Member of Lok Sabha and Bhojpuri actor-singer Manoj Tiwari)। 'পাঞ্জাব উমর কে বোলা হুঁ রং দে বাসন্তী চোলা' নামের এই গান ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। 


ইতিমধ্যেই বিজেপির জাতীয় তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের ইনচার্জ অমিত মালব্য প্রায় পাঁচ মিনিটের প্রচারের গানের ভিডিও টুইটারে শেয়ার করেছেন। এই গান ও ভিডিওটির সৃজনশীল ইনপুট দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি। অন্যদিকে পঞ্জাবের পাশাপাশি বিজেপি ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের প্রচারের গান প্রকাশ করেছে। নয়া গান প্রসঙ্গে মনোজ তিওয়ারি জানান, পাঞ্জাবি স্টাইলে এটাই তার প্রথম গান। তিনি বলেন, "আমি এ পর্যন্ত ৫ হাজারের কাছাকাছি গান গেয়েছি এবং এটি আমার পাঞ্জাবি ফ্লেভারের প্রথম গান। পাঞ্জাবি ফ্লেভারে গান গাওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি।"


আরও পড়ুন- রাম মন্দিরে দিতে হবে লক্ষাধিক টাকার অনুদান, পঞ্জাবের ব্যবসায়ীর প্রধানমন্ত্রীকে লেখা সুইসাইড নোট ঘিরে চাঞ্চল্য


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিখ সম্প্রদায়কে টার্গেট করেই মূলত লেখা হয়েছে এই গান। একই সাথে পঞ্জাবের মানুষের জন্য মোদী সরকারের নানা উদ্যোগকেও তুলে ধরা হয়েছে গানের মধ্য দিয়ে। এই গানেই বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশের জন্য বেঁচে আছেন এবং জাতির জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন। এই গানটিতেই আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং দলের নির্বাচনী ইনচার্জ গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতও পুরীর মূল্যবান ইনপুট দিয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে। এদিকে প্রথমে পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণের তারিখ ঠিক হয়েছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি। পরবর্তীতে পিছিয়ে করা হয় ২০ ফেব্রুয়ারি। গুরু রবিদাসের জন্মবার্ষিকী ১৬ ফেব্রুয়ারি। আর সেই কারণেই।  ফেব্রয়ারির ১০-১৬ অনেকেই বারাণসীতে থাকেন। তাদের পক্ষে ভোট দেওয়া সম্ভব নয়। আর সেই জন্য পঞ্জাবের একাধিক রাজনৈতিক দলের তরফে ভোট প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তোলা হয়। 


আরও পড়ুন- বিজেপি সাংসদের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ নরেন্দ্র মোদী, বললেন দলের কঠিন সময় তিনি কাজ করেছেন