সংক্ষিপ্ত

দুর্গাপুজোর মতো সরস্বতী পুজোতেও গোটা রাজ্যজুড়েই দেখা যাচ্ছে থিমের ছটা। যদিও বেশিরভাগ জায়গায়তেই উঠে এসেছে সমাজের প্রান্তিক মানুষের কথা। 
 

উদ্বেগ ছিলই। কিন্তু করোনা ফাঁস আলগা হতেই গোটা রাজ্য মেতে উঠেছে বাণী বন্দনায়। স্কুল-কলেজে চলছে সরস্বতী আরাধনা। এদিকে দুর্গাপুজোর মতো সরস্বতী পুজোতেও গোটা রাজ্যজুড়েই দেখা যাচ্ছে থিমের ছটা। যদিও বেশিরভাগ জায়গায়তেই উঠে এসেছে সমাজের প্রান্তিক মানুষের কথা। সম্প্রতি কাঁচাবাদাম গান গিয়ে বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিলেন বীরভূমের বাদাম বিক্রেতা ভূবন বাদ্যকার। তার গাওয়া কাঁচা বাদাম গান (Kacha Badam Song) আজও ট্রেন্ড করছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার সেই কাঁচা বাদা দিয়েই সেজে উঠে বীণাপানি। এই অভিনব সরস্বতীর দেখা মিলেছে  পুরুলিয়ার (Purulia) নেতুড়িয়া থানার সরবড়ি মোড়ে।  সাঁতুড়ির বৃন্দাবনপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃৎশিল্পী বাসুদেব সূত্রধর (Potter Basudev Sutradhar, a resident of Vrindavanpur village in Santuri) বানিয়েছেন এই অভিনব সরস্বতী। অন্যদিকে সরস্বতী পুজো মন্ডপে থিমের (Saraswati Pujo theme) ছটা দেখা গিয়েছে হুগলীতেও। 


হুগলীর বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে প্রতিবছরই সরস্বতী পুজোয় বিভিন্ন থিমের সমাহার দেখতে পাওয়া যায়। এবারও তার অন্যথা হয়নি। হুগলীর বেলমুড়ির মেহেরপুরের আমরা সকলে ক্লাবের এবারের থিম রাখা হয়েছে শিশুশ্রম বন্ধ করুন। এদিকে  করোনাকালে স্কুল ছুট পড়ুয়াদের সংখ্যাও একলাফে বহুগুন বেড়ে গিয়েছে।  অন্যদিকে সমাজের দরিদ্র শ্রেণির মানুষের দুর্দশাও বহুগুন বেড়ে গিয়েছে অর্থকষ্টের জেরে। আর সেই কারণেই এবারের হুগলীর এই পুজো উদ্যোক্তারা সমাজের সেই প্রান্তিক শ্রেণির মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথাই তাদের থিমে তুলে ধরতে চেয়েছেন। মন্ডপ সজ্জায় ফুটে উঠেছে গ্রাম বাংলার এক বেনামী চায়ের দোকানে। যেখানে পড়ার ফাঁকে বাবার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চা বিক্রি করছে কিশোরী সরস্বতী। অভিনব এই থিম নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে জেলাজুড়ে। 


আরও পড়ুন- জেনে নিন কেন বসন্ত পঞ্চমী তিথিতেই দেবী সরস্বতীর পূজা করা হয়
অন্যদিকে  মুর্শিদাবাদ জেলার বানী সংঘ ক্লাবেও দেখা গিয়েছে অভিনব থিম সজ্জা। তাদের থিমের নাম দেওয়া হয়েছে শিবালয়। তবে এবছর এক মহিলা চিত্র শিল্পী, শিল্পা অধিকারী, সে নিজেই ফুটিয়ে তুলছে এই থিম। তবে শিল্পা অধিকারী কোনো পেশাদার শিল্পী না হলেও তার কাজের প্রশংসা ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে দিকে দিকে। এদিকে এই ক্লাব প্রতি বছর কয়েক লক্ষ টাকার বাজেট রাখলেও এবারে তাতে খানিক কাটছাঁট করে হাতের কাজের উপর সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। মূলত পুজো উদ্যোক্তারা নিজেদের প্রচেষ্টাতেই ফুটিয়ে তুলেছেন মন্ডপের সমস্ত কারুকার্য। 
আরও পড়ুন- সরস্বতী পুজোয় মিঠাইয়ের হাতেখড়ি, উচ্চেবাবু কী লেখালো হাতে ধরে