দলেরই এক কর্মীর কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেন মোদী। বিজেপি কর্মীর কর্মকাণ্ডে তিনি নিজেও গর্বিত বলেও জানিয়েছেন। 

দক্ষিণভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি তেলাঙ্গনা, তামিলনাড়ু আর কর্ণাটক সফরে এসেছেন। একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনই তাঁর মূল কর্মসূচি। কিন্তু অফিসিয়াল ব্যস্ততা ছাড়িয়েও দলের সদস্যদের জন্য সময় বার করে নিয়েছেন তিনি। ছবি তুলেছেন বিজেপির নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে। তেমনই একটি সেলফি প্রধানমন্ত্রী নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। যার ক্যাপশনে লিখেছেন, 'একটি বিশেষ সেলফি'

মোদীর বিশেষ সেলফি-

শনিবার সন্ধ্যায় বিজেপি কর্মী থিরু এস মণিকন্দনের সঙ্গে দেখা করেন মোদী। টুইটারেই তাঁরই সঙ্গে তোলা একটি ছবি (সেলফি) শেয়ার করেন। তিনি বলেন দলে থিরুর মত কর্মী থাকায় তিনি গর্বিত। তিনি আরও বলেছেন, ইরোডের কর্মী। বুথ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একজন বিশেষভাবে সক্ষম মানুষ থিরু। কিন্তু নিজের অক্ষমতা তাঁর কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন নিজের দোকান নিজেই চালান। তবে সবথেকে প্রেরণা যেটা তাঁকে দিয়েছে সেটা হল থিরু প্রতিদিনের লাভের একটি অংশ তাঁর দল বিজেপিকে দেয়।

Scroll to load tweet…

এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হায়দরাবাদের জনসভায় বলেন, কয়েক দিন আগে কিছু রাজনৈতিক দল আদালতে গিয়ে সুরক্ষা চেয়েছিল। বিরোধীদের দাবি ছিল তাদের দুর্নীতি নিয়ে যে কোনও অনুসন্ধান না করা হয়। কিন্তু আদালত তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে বিরোধীদের বড় ধাক্কা জিয়েছে। এদিনের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি আর পরিবারতন্ত্র নিয়ে বিরোধীদের চড়া সুরেই আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি কংগ্রেসের নেতৃত্বে ১৪টি রাজনৈতিক দল সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করে। বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের এবং অন্য নাগরিকদের ভিন্নমতের মৌলিক অধিকার প্রয়োগ করার বিরুদ্ধে জবরদস্তিমূলক অপরাধমূলক প্রক্রিয়ার ব্যবহার উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। যাইহোক, সুপ্রিম কোর্ট, আবেদনটি গ্রহণ করতে অস্বীকার করে, পর্যবেক্ষণ করেছে যে রাজনীতিবিদদের "উচ্চতর অনাক্রম্যতা" নেই।

পাঁচ এপ্রিল বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালারা একটি বেঞ্চ পিটিশনটি গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করেছিল। বলেছিল যে আদালতগুলি সর্বদা রাজনৈতিক নেতাদের অভিযোগ গ্রহণের জন্য রয়েছে, যা তারা সাধারণ নাগরিকের জন্য করে।

এখানেই শেষ নয় , মোদী এদিন হায়দরাবাদের জনসভা থেকে তেলাঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-এর নেতৃত্বাধীন বিআরএস সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, পরিবারবাদ উৎসাহিত করা মুষ্টিমেয় লোক তেলাঙ্গনার জনগণের জন্য বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলি থেকে তারা কোথায় লাভবা হতে পারে দেখার প্রচেষ্টা শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিতে রাজ্য সরকার অসহযোগিতা করায় তেলাঙ্গনার সাধারণ মানুষের উন্নয়নের স্বপ্ন বাধা পাচ্ছে। জনগণের প্রকল্পগুলির জন্য কোনও বাধা যাতে রাজ্য সরকার তৈরি না করে তিনি তারও আবেদন করেছেন হায়দরাবাদের জনসভা থেকে। তেলাঙ্গনার উন্নয়ন স্তব্ধ করার জন্য তিনি নাম না করে কেসিআরএর তীব্র সমালোচনা কপেন। তিনি বলেন পরিবারবাদ আর দুর্নীতি আলাদা কোনও বিষয় নয়, যেখানে পরিবারতন্ত্র প্রাধান্য পায় সেখানেই দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। পরিবারতন্ত্রের জন্য তেলাঙ্গনার মানুষদের রেশন লুঠ হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।