সংবিধান দিবসে সুপ্রিম কোর্টের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের তরুণ প্রজন্মকে সংবিধান নিয়ে আরও বেশি করে আলোচনার অহ্বান জানান। পাশাপাশে দেশের উন্নয়নের কথাও তুলে ধরেন। 

শনিবার সুপ্রিম কোর্টে সাংবিধান দিবসের ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২৬/১১ মুম্বই হামলার শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন। তিনি বলেন, 'আজ মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলার বার্ষিকীও। ১৪ বছর আগে যখন ভারত তার সংবিধান ও নাগরিকদের অধিকার উদযাপন করছিল তখন মানবতার শত্রুরা ভারতের সবথেকে বড় সন্ত্রাসবাদী হামলাটি করেছিল। হামলায় যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই।'তিনি এদিনের অনুষ্ঠানে G-20এর কথাও উত্থাপন করেন, বলেন এটি ভারতের একটি বড় সাফল্য।

Scroll to load tweet…

বিশ্ব শক্তির সঙ্গে তালমিলিয়ে ভারত এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন ভারতের নীতিগুলি যে মহিলাদের জন্য সুবিধে প্রদান করছে তার দিকে নজর রাখছে বিশ্বের অন্যান্যদেশগুলি। তিনি আরও বলেন লালকেল্লা থেকে তিনি দেশের ও দেশবাসীর কর্তব্যের ওপর জোর দিয়েছিলেন। আগামী ৫০ বছরের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই কথাও এদিন উত্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন , আজাদি কা অমৃতকাল হল দেশবাসীর কর্তব্যকাল। তিনি বলেন এই দেশ খুব তাড়াতাড়ি উন্নয়েনর একটি নতুন স্তরে পৌঁছাবে। তিনি বলেন ভারত একাধিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।

Scroll to load tweet…

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন দেশের তরুণদের সংবিধান নিয়ে আলোচনা ও বিতর্কে আরও বেশি করে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমাদের সংবিধান উন্মুক্ত, ভবিষ্যতবাদী ও তার প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গির জন্য পরিচিত। আমাদের সংবিধানের চেতনা যুবকেন্দ্রিক। আনাদের দেশের উন্নয়ন তরুণদের কাঁধে রয়েছে। তরুণদের সংবিধানকে আরও ভালভাবে বোঝার জন্য আমি তাদের আরও ভালভাবে আহ্বান জানাই। সংবিধানে নিয়ে আলোচনা ও বিতর্ককে আরও বেশি আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। তরুণদের অবশ্যই গণপরিষদ নিয়ে আলোচনা আর বিতর্কে অংশ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। ' এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী ই-কোর্ট প্রকল্পের অধীনে বেশ কয়েকটি নতুন প্রকল্প উদ্বোধন করেন। ১৯৪৯ সালে গণপরিষদ দ্বারা ভারতের সংবিধান গৃহীত হওযার পর থেকে সেই দিনটির স্মরণ ২০১৫ সাল থেকে সংবিধান দিবস পালিত হয়। মোদী সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান এটি।

আরও পড়ুনঃ