সংক্ষিপ্ত

নিজের দেওয়া কথা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণের প্রথম কিস্তির টাকা পেলেন ১.৪৭ লক্ষ মানুষ।

অবশেষে নিজের দেওয়া কথা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Prime Minister Narendra Modi)। রবিবার টাকা পেলেন লক্ষাধিক মানুষ। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণের (Pradhan Mantri Awaas Yojana - Gramin) প্রথম কিস্তির (first instalment) টাকা পেলেন ১.৪৭ লক্ষ মানুষ (1.47 lakh beneficiaries)। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। ত্রিপুরার ১.৪৭ লক্ষ মানুষের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে টাকা। 

ত্রিপুরার মানুষের হাতে টাকা দেওয়ার সাথে সাথে মোট ৭০০ কোটি টাকা এই প্রকল্প ব্যয় করল কেন্দ্র সরকার। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের পর, ত্রিপুরার ভূ-জলবায়ু পরিস্থিতি বিবেচনা করে, কাঁচা বাড়ির সংজ্ঞা বিশেষভাবে রাজ্যের জন্য পরিবর্তিত হয়েছে। যাঁরা এতদিন কাঁচা বাড়িতে বসবাস করতেন,তাঁরা এবার একটি করে পাকা বাড়ি পাবেন বলে মনে করছে কেন্দ্র। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে ত্রিপুরার ভৌগোলিক পরিবেশ অনুযায়ী একটি কাঁচা বাড়ি তৈরি করা হয় বাঁশ, মাটি, ঘাস, শণ, পাথর, মালচ, ফসলের অবশিষ্টাংশ এবং অন্যান্য উপকরণ দিয়ে। এই উপকরণ গুলি কেবল মাত্র ত্রিপুরার জন্যই নির্দিষ্ট করা হয়। 

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (শহুরে) প্রকল্পের অধীনে, ত্রিপুরাকে গত বছর উত্তর-পূর্ব অঞ্চল এবং পার্বত্য রাজ্যের বিভাগে 'সেরা-পারফর্মিং রাজ্য' হিসাবে মনোনীত করা হয়েছিল। PMAY-G স্কিমের মাধ্যমে এখন গ্রামীণ সুবিধাভোগীদের জীবনকে উন্নত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। PMAY-G গ্রামীণ এলাকায় সমস্ত গৃহহীন দরিদ্র মানুষকে পাকা ঘর দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। ছত্তিশগড়, অসম, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ুতে এই প্রকল্পের কার্যকারিতায় ফাঁক থেকে গিয়েছে। 

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের মধ্যে প্রত্যেক ভারতবাসীর মাথার উপর ছাদ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছএন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর জন্য ২০১৬ সালের নভেম্বরে তিনি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা - গ্রামীণ প্রকল্প চালু করেছিলেন। এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে ১.২৬ কোটি বসতবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় সমতলের প্রত্যেক সুবিধাভোগীকে ১.২০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। পার্বত্য এলাকা, উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি, দুর্গম এলাকা, জম্মু ও কাশ্মীর লাদাখ-এর মতো অঞ্চলের বাসিন্দারা পান ১.৩০ লক্ষ টাকার অনুদান।

Rahul Gandhi-হিন্দুত্ব মানেই শিখ-মুসলিমকে পেটানো, বিজেপিকে কটাক্ষ রাহুল গান্ধীর

Climate Summit-জলবায়ু চুক্তির বিরোধিতায় ২১টি দেশ, কোন প্রশ্নে এককাট্টা ভারত-চিন

বসতবাড়ি তৈরির জন্য আর্থিক অনুদানের সঙ্গে সঙ্গে PMAY-G প্রকল্পের সুবিধাভোগকারীরা, মনরেগা (MGNREGS) প্রকল্পে অদক্ষ শ্রম মজুরির সহায়তা এবং স্বচ্ছ ভারত মিশন-গ্রামীণ (SBM-G) প্রকল্পের অধীনে শৌচাগার তৈরির জন্য ১২,০০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন। এছাড়া এই প্রকল্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা প্রকল্পের আওতায় এলপিজি সংযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ, জল জীবন মিশনের আওতায় নিরাপদ পানীয় জল-এর মতো ভারত সরকারের অন্যান্য প্রকল্পকেও জুড়ে নেওয়া যায়।