প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানির ৯৮তম জন্মদিনে তাঁর বাসভবনে গিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দিলেন বিশেষ সম্মান। 

ভারতীয় জনতা পার্টির প্রবীণ নেতা এবং ভারতরত্ন লালকৃষ্ণ আদভানির জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর সঙ্গে দেখা করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শনিবার সন্ধ্যায় এলকে আদভানির বাসভবনে পৌঁছান এবং তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। আদভানি আজ ৯৮ বছরে পা দিলেন।

এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও লালকৃষ্ণ আদভানিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, 'বিজেপির সভাপতি হিসেবে আদভানিজি সংগঠনকে গ্রাম থেকে মহানগর পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দেশের নিরাপত্তাকে শক্তিশালী করেছেন। শ্রীরাম জন্মভূমি আন্দোলনে তিনি সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন এবং রথযাত্রা বের করে দেশজুড়ে জনজাগরণ সৃষ্টি করেছিলেন। আমি ঈশ্বরের কাছে আদভানিজির দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন কামনা করি।' তিনি ছাড়াও বিজেপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করিও লালকৃষ্ণ আদভানিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

বিজেপিকে জাতীয় স্তরে পৌঁছে দেওয়া নেতা হলেন আদভানি

লালকৃষ্ণ আদভানি সেই নেতাদের মধ্যে একজন, যারা বিজেপিকে একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে ক্ষমতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৮০ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে বিজেপি প্রতিষ্ঠায় তিনি প্রধান ভূমিকায় ছিলেন। ২০০২-২০০৪ পর্যন্ত বাজপেয়ী সরকারে তিনি দেশের উপ-প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি দলের সংগঠন, কৌশল এবং জনসংযোগে তার শক্তিশালী দক্ষতার জন্য পরিচিত ছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক যাত্রা ভারতের রাজনীতিতে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে।

আদভানির ১৯৯০ সালের রথযাত্রাকে ভারতের রাজনৈতিক পরিবর্তনের যাত্রা বলা হয়। এই যাত্রাই অযোধ্যায় রাম মন্দির আন্দোলনকে একটি জাতীয় ইস্যুতে পরিণত করার প্রধান কারণ হয়ে ওঠে। সেই সময়েই আদভানি দেশের সবচেয়ে বড় জননেতা হিসেবে উঠে আসেন।