সংক্ষিপ্ত

প্রতিরক্ষা নিয়ে এগুচ্ছ বিষয়ে কথাবার্তা ও চুক্তি হতে পারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ফ্রান্স সফরের মধ্যেই। দীর্ঘদিন ধরেই বেশি কিছু প্রতিরক্ষা সামগ্রী নিয়ে আলোচনা চলছে। সেগুলির জটও ছাড়তে পারে।

 

আগামী ১৪ জুলাই ফ্রান্স সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মার্কিন সফরের পরে প্রধানমন্ত্রীর ফ্রান্স সফরও ভারতের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে প্রতিরক্ষাখাতে। সাউথব্লক সূত্রের খবর প্রতিরক্ষা নিয়ে এগুচ্ছ বিষয়ে কথাবার্তা ও চুক্তি হতে পারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের মধ্যেই। বর্তমান ভারতের দুই প্রতিপক্ষ চিন আর পাকিস্তান। এই দুই দেশের মোকাবিলা করার জন্য ভারতকে স্থল ও আকাশ- শক্তিতে যেমন উন্নত হতে হচ্ছে তেমনই নৌশক্তিতেও পারদর্শীতা বাড়াতে হচ্ছে। আর এই তিনটি ক্ষেত্রেও ফ্রান্স যথেষ্ট শক্তিশালী।

১. রাফাল যুদ্ধ বিমান সরবরাহ করেছে ফ্রান্স। ভারত-ফ্রান্স স্কোর্পেন সাবমেরিনের উন্নতি নিয়ে যৌথ উদ্যোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে গুজরাটে C-295 কৌশলগত পরিবহন বিমান তৈরির জন্য এয়ারবাস চুক্তির কারণে ভারতের প্রতিরক্ষাখাতে ফ্রান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করছে।

২. এটি উল্লেখযোগ্য যে রাশিয়ার পর ফ্রান্সই ভারতে প্রতিরক্ষাখাতে সবথেকে বড় অংশীদার। ২০১৭-২০২১ সালের মধ্যে ভারত যেসব দেশ থেকে সামরিক সামগ্রী আমদানী করেছে তারমধ্যে অন্যতম ফ্রান্স। ভারতের আমদানীর ২৭ শতাংশই হয়েছে ফ্রান্স থেকে । প্রথম রয়েছে রাশিয়া (৪৬ শতাংশ), তৃতীয় স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (১২ শতাংশ)। ১৯৯৮ সালে ভারতের পরমাণু পরীক্ষাকে যে মুষ্টিমেয় কয়েকটি দেশ সমর্থন করেছিল তাদের মধ্যে অন্যতন ফ্রান্স।

৩. প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্টিলথ ফাইটার ডেট প্রোগ্রাম সম্পর্কিত ইঞ্জনে সমস্যা সমাধানে ভারতকে সাহায্য করতে ফ্রান্স। AMCA-এর বিকাশকারীরা জেটের আপগ্রেড Mk2 সংস্করণের জন্য একটি উচ্চ-থ্রাস্ট ১১০ kN ইঞ্জিন সহ-উন্নয়নের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করছে।

৪. ফ্রান্সের Safran উচ্চ-থ্রাস্ট ১১০kN ইঞ্জিন বিকাশে সহায়তা করার জন্য ভারতের সঙ্গে জেট ইঞ্জিন প্রযুক্ত শেয়ার করতে ফ্রান্স রাজি হয়েছে। এই প্রযুক্তি হাতে পেলে ভারত দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ইঞ্জিন হেলিকপ্টারের জন্য ব্যবহার করতে পারে। ফাইটার জেট ইঞ্জিনের প্রযুক্তি নিয়ে ভারত দীর্ঘ দিন ধরেই ফ্রান্সের সঙ্গে কথাবার্তা বলছে। এবার মোদীর সফরে তা সমাধান হতে পারে বলেও মনে করছে অনেকে।

৫. ভারত একটি আদর্শ নৌ ফাইটার জেট কেনার পরিকল্পনা নিয়েছে। আর সেক্ষেত্রে ভারতের নৌবাহিনীর কাথে আইএনএস বিক্রান্তের জন্য বেশি পছন্দ ফ্রাঞ্চ রাফেল -এম-কে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের F/A-18 সুপার হর্নেটের থেকেও। মোদীর সফরে এই বিষয় নিয়েও আলোচনা হতে পারে।

৬.ভারত দেশীয় প্রযুক্তিতে AMCA Mk2-এর জন্য উচ্চ-থ্রাস্ট 110kN ইঞ্জিন তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে। আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে এই প্রযুক্তি নিজেদের হাতে নিতে মরিয়া ভারত। সেক্ষেত্রও ভারত পাশে পেতে পারে ফ্রান্সকে। আর সেই জট ছাড়াবে মোদীর ফ্রান্স সফরে। তেমনই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুনঃ

রাহুল গান্ধীর জন্য বড় ধাক্কা গুজরাট হাইকোর্টের রায়, মোদী পদবী মামলায় কংগ্রেস নেতার আবেদন নাকচ

পাকিস্তানি মহিলার পাতা হানিট্র্যাপে ভারতের প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানী, দিয়েছেন মিসাইল সিস্টেমের বিস্তারিত তথ্য

মাংসের প্লেটে আস্ত মরা ইঁদুর, ধাবার খাবারের ভিডিও ভাইরাল হতেই মালিক শ্রীঘরে