সরকারি অনুষ্ঠানে আবেগতাড়িত নরেন্দ্র মোদী জনঔষধি যোজনায় মহিলার কাহিনী শুনলেন প্রধানমন্ত্রীকে ঈশ্বরের সঙ্গে তুলনা করেন মহিলা বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে পাড়েননি মোদী

এর আগে বেশ কয়েকবার প্রকাশ্যে আবেগতাড়িত হতে দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। শনিবার ছিল কেন্দ্রের জন ঔষধি দিবস পালনের কর্মসূচি। সেখানেই ভিডিয়ো কনফারেন্সে মাধ্যমে কথা বলার সময় অনুষ্ঠানের মঞ্চে কোনওরকমে চোখের জল সামলাতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীকে।

আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কের মধ্যেই মথুরা মেতেছে উৎসবে, গোকুলে পালিত হচ্ছে 'ছাদি হোলি', দেখুন ভিডিও

কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্প ভারতীয় জনৌষধি পরিযোজনার সুবিধাপ্রাপ্ত লোকজন ও জনঔষধী কেন্দ্রগুলির কর্ধরাদের সঙ্গে এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যে কথা বলছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময় দেহরাদুনের বাসিন্দা দীপা শাহা নামের এক মহিলা জানান, ২০১১ সালে তিনি সিভিয়ার প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হন। কথা বলতে পারতেন না তিনি। মাসে ওষুধের খরচ ছিল প্রায় বারো হাজার টাকা। দীপাদেবীর স্বামীও বিশেষভাবে সক্ষম। ফলে খরচ চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী জনঔষধি প্রয়োজনা প্রকল্প তাঁকে নতুন দিশা দেখায়। এই প্রকল্পে ওষুধের খরচ কমে দাঁড়ায় দেড় হাজার টাকা। সেই ওষুধের গুণেই আজ হেঁটে চলে বেড়াচ্ছে পারছেন দীপা শাহ। বাড়তি টাকায় খেতে পারছেন ফল ও অন্যান্য খাবার।

আরও পড়ুন: উদ্বোধনের ৬ মাসের মধ্যেই বিপর্যয়, দিল্লির কাছে গুরুগ্রামে ধসে পড়ল পাতৌদি ফ্লাইওভার

এরপরেই দীপাদেবী প্রধানমন্ত্রীকে স্বয়ং ঈশ্বরের সঙ্গে তুলনা করেন। বলেন., 'আমি আপনার মধ্যে ঈশ্বরকে দেখিছ মোদীজি।' কথা বলতে গিয়ে কেঁদেও ফেলেন দীপা। আবেদ সামলাতে পারেননি প্রধানমন্ত্রীও। বেশকিছুক্ষণ কথা বলতে পারেননি তিনি। যদিও পরে নিজেকে সামলে নেন। 

Scroll to load tweet…

উল্লেখ্য, দেশজুড়ে ৬,০০০ জনঔষধি কেন্দ্র খুলেছে ভারত সরকার। যাতে মধ্যবিত্ত ও গরীব মানুষরা উপকৃত হন সেইকারণে ওইসব কেন্দ্র থেকে অত্যন্ত কম দামে জেনেরিক ওষুধ সরবরাহ করে সরকার। শনিবার এই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখার সময় নরেন্দ্র মোদী বলেন, জনঔষধি কেন্দ্রে নানা জীবনদায়ী ওষুধ ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি তিনি জানান, বাইরে যে ক্যান্সার ওষুধের দাম ৬৫০০ টাকা, সেই ওষুধ দনঔষধি কেন্দ্রে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৮৫০ টাকায়। 

Scroll to load tweet…

এই ভিডিও কনফারেন্সেই প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রকল্প চালু হওয়ার পর প্রতি মাসে এক কোটিরও বেশি পরিবার জনঔষধী কেন্দ্রগুলি থেকে কম দামে ওষুধ পাচ্ছে। সারা দেশে ৬ হাজারেরও বেশি জনঔষধী কেন্দ্র আছে। এগুলির মাধ্যমে দেশের মানুষ দুই থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা বাঁচাতে পারছেন।