সংক্ষিপ্ত

রেমাল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দিল্লিতে রবিবার ছুটির দিনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

 

ঘূর্ণিঝড় রেমাল ধেয়ে আসছে স্থলভাগের দিকে। এই অবস্থায় গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দিল্লিতে রবিবার ছুটির দিনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রশাসনিক কর্তারা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। দেশের আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস অনুযায়ী রেলাম ঘূর্ণিঝড়ের সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গ। ওড়িশা , ত্রিপুরা-সহ একাধিক রাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে। সামগ্রিক পরিস্থিতি ক্ষতি দেখতে ও প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতেই এদিন বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন বলেও পিএমও সূত্রের খবর। রবিবার মধ্যরাতে বাংলাদেশের মোংলা এলাকায় ল্যান্ডফল করার কথা রয়েছে রেমাল-এর।

 

 

ঘূর্ণিঝড় রেমাল-এর কারণে ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দর। রবিবার দুপুরের পর থেকেই ফ্লাইট অপারেশন স্থগিত রেখেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এদিন দুপুরের পর থেকেই বিমান বন্দর টার্মিনাল ভবন নির্জন হয়ে পড়ে।

অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল-এর কারণে ত্রিপুরা সরকার খোয়াই, ধলাই-সহ রাজ্যের চারটি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে। ত্রিপুরায় ২৬ - ২৯ মে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কয়েকটি জেলার জন্য হলুদ সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।

আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী এদিন দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে। আগামিকাল সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে। সোমবারও গোটা রাজ্য জুড়েই চলবে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টি হবে। ভাসবে উত্তরের জেলাগুলিও। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে ২৯ মে।