সংক্ষিপ্ত
সূত্রের খবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেথেকেই এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ১২৫তম বর্ষ উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকারও একগুচ্ছ প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
আগামী বছর রামকৃষ্ণ বিশন ১২৫ বছর (125 years of Ramakrishna Math and Mission) পূর্ণ করবে। এই উপলক্ষ্য়ে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিক, গুজরাট থেকে অরুণাচল - সর্বত্রই রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। ভত্তদের সহযোগিতায় এই বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। রামকৃষ্ণ, সারদা দেবী ও বিবেকানন্দের ভক্তরা এই অনুষ্ঠানে সামিল হবেন বলেও জানান হয়েছে মঠ ও মিশনের পক্ষ থেকে। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ১লা মে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
সূত্রের খবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেথেকেই এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ১২৫তম বর্ষ উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকারও একগুচ্ছ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। মঠের পক্ষ থেকে সুবিরানন্দ মহারাজ আরও জানিয়েন কেন্দ্রীয় সরকার, রামকৃষ্ণ ও বিবেকান্দ আন্দলোনকে তুলে করার একটি বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে মঠ ও মিশনের কর্মসূচি, আন্দোলন , ইতিহাস তুলে ধরার হবে। মঠের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর ১২৫তম বর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে বেলুড়মঠে। তাতেই আমন্ত্রণ জানান হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁর উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা প্রবল। এর আগে ২০২০ সালে ১২ জানুয়ারি বিবেকানন্দর জন্মদিন বা যুব দিবস উপলক্ষ্যে বেলুড় মঠে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে রাতেও ছিলেন তিনি।
রামকৃষ্ণ মিশন হল একটি ভারতীয় ধর্মীয় সংগঠন। ১৮৯৭ সালের ১ মে রামকৃষ্ণের অন্যতম শিষ্য বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংগঠন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামোন্নন, সেবা কাজে গুরুত্বসহকারে অংশগ্রহণ করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারির মত দুঃসময় মঠ ও মিশন কর্তৃপক্ষ দেশের সাধারণ মানুষের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। ত্রাণ সরবরাহ করে। প্রচুর সন্নাস্যী ও গৃহস্থ ভক্তবৃন্দ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সঙ্গে সরাসরিভাবে যুক্ত। এটি হিন্দু দর্শন বেদান্তের অনুগামী হলেও মহারাজ সুবিরানন্দ জানিয়েছেন, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন সকল ধর্ম, সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে সহযোগিতা করে। সকল মানুষের পাশে দাঁড়ায়। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন এদুটিকে একসঙ্গে রামকৃষ্ণ সংঘ বলা হয়। ভারত ছাড়া বিদেশেও রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের শাখা রয়েছে।