সংক্ষিপ্ত

গুজরাতে স্থাপিত হয়েছে 'স্ট্যাচু অব ইউনিটি'

এবার রাজস্থানে স্থাপিত হচ্ছে 'স্ট্যাচু অব পিস'

সোমবারই মূর্তির উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

১৫১ ইঞ্চি দীর্ঘ মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে 'অষ্টধাতু' দিয়ে

'স্ট্যাচু অব ইউনিটি'র পর 'স্ট্যাচু অব পিস' অর্থাৎ 'শান্তির মূর্তি'। সোমবার (১৬ নভেম্বর) জৈন সন্ন্যাসী আচার্য শ্রী বিজয় বল্লভ সুরিশ্বর জি মহারাজের ১৫১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজস্থানের পালি জেলায়  'স্ট্যাচু অব পিস' বা 'শান্তির মূর্তি'র উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানা গিয়েছে মূর্তিটি ১৫১ ইঞ্চি লম্বা। মূর্তিটি তৈরিতে ব্যবহার সকরা হয়েছে 'অষ্টধাতু' অর্থাৎ আটটি ধাতু, যারমধ্যে প্রধান উপাদান হল তামা।

১৮৭০ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন এই জৈন সাধু। কঠোর কৃচ্ছসাধনের জন্য পরিচিত ছিলেন তিনি। নিঃস্বার্থভাবে ভগবান মহাবীরের বাণী প্রচার করাতেই নিজেকে নিবেদন করেছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর রাজস্থানের পালি জেলার জেটপুরার বিজয়বল্লভ সাধনা কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছিল। সেই কেন্দ্রেই স্থাপন করা হচ্ছে এই মূর্তি।

শুধু মহাবীর জৈন-এর বাণী প্রচারই নয়, সেইসঙ্গে জনসাধারণের কল্যাণের জন্য অনেক কাজ করেছিলেন বিজয় বল্লভ সুরিশ্বর জি মহারাজ। শিক্ষার বিস্তারেও তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। সামাজিক কুসংস্কার, কুপ্রথাগুলি  নির্মূলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছিলেন। সেইসঙ্গে রচনা করেছেন বহু কবিতা, প্রবন্ধ, ভক্তিমূলক স্তোত্র, স্তবগান। এখানেই শেষ নয়, স্বাধীনতা আন্দোলনেও সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। নানাভাবে স্বদেশীদের সহায়তা করতেন।

তাঁর জীবন ও কাজ এখনও মানুষকে অনুপ্রেরণা জোগায়। ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে তাঁর অনুগামীরা কলেজ, স্কুল ও স্টাডি সেন্টার সহ ৫০ টিরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালান।