সংক্ষিপ্ত

দ্রৌপদী মূর্মূকে যে প্রার্থী করা হতে পারে তার একটা আলোচনা গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাজধানী দিল্লির রাজনৈতিক অন্দরমহলে গুনগুন করছিল। দ্রৌপদী মূর্মূ-র প্রার্থী পদ এতটাই জোর আলোচনায় ছিল যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠকে যোগ দেওয়া থেকে পিছিয়ে যায় বিজেডি। কারণ, দ্রৌপদী ওড়িশার ভূমিপূত্রি এবং একটা সময় ওড়িশার জোট সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন। 

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই দ্রৌপদী মূর্মূ-কে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী দ্রৌপদী মূর্মূ-র প্রার্থীপদ ঘিরে যথেষ্ট আশা প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর মতে, দ্রৌপদী মূর্মূ-র নেতৃত্ব পেলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে এবং দেশবাসী এক অসামান্য নেত্রীকে রাষ্ট্রপতি পদে দেখার সুযোগ পাবে। 

দ্রৌপদী মূর্মূকে যে প্রার্থী করা হতে পারে তার একটা আলোচনা গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাজধানী দিল্লির রাজনৈতিক অন্দরমহলে গুনগুন করছিল। দ্রৌপদী মূর্মূ-র প্রার্থী পদ এতটাই জোর আলোচনায় ছিল যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠকে যোগ দেওয়া থেকে পিছিয়ে যায় বিজেডি। কারণ, দ্রৌপদী ওড়িশার ভূমিপূত্রি এবং একটা সময় ওড়িশার জোট সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন। ২০০ সালে ওড়িশায় বিজেপি ও বিজেডি-র যে জোট সরকার হয়েছিল তার মন্ত্রী ছিলেন দ্রৌপদী। পরবর্তীকালে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালের দায়িত্বভারও গ্রহণ করেছিলেন। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর টুইট বার্তায় লিখেছেন, 'শ্রীমতি দ্রৌপদী মূর্মূ জীবনটা উৎসর্গ করেছেন সমাজ সেবায় এবং গরিবদের দুঃখকষ্ট দূর করতে। প্রচণ্ডভাবে এক সহজ-সরল সাধারণ জীবনযাপনে বিশ্বাসী এবং প্রবলভাবে নিচুতলার প্রতিনিধি হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিতে ভালোবাসেন। তাঁর মধ্যে এক অসামান্য প্রশাসনিক জ্ঞান এবং দক্ষতার সঙ্গে প্রশাসনিক কাজকর্মকে চালনা করার মতো গুন রয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস তিনি দেশের অন্যতম এক সেরা রাষ্ট্রপতি হওয়ার ক্ষমতা রাখেন।'

এলই টুইটের বাইরেও প্রধানমন্ত্রী আরও একটি টুইট করেছেন, যেখানে তিনি লিখেছেন- 'লক্ষ লক্ষ মানুষ যারা গরীবিকে চরমভাবে অনুভব করেছেন এবং প্রতিনিয়ত জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে তারা অনুপ্রাণিত হবেন দ্রৌপদী মূর্মূর জীবনচরিত থেকে। যে কোনও সামাজিক নীতিকে বোঝা এবং এক অসামান্য সহানুভূতিতে কার্য সম্মন্ন করার যে ক্ষমতা তাঁর মধ্যে রয়েছে তা দেশকে মারাত্মকভাবে উপকৃত করবে।'

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ম্যাজিক ফিগার থেকে মাত্র ৪৩ হাজার ভোটের দূরত্বে দাঁড়িয়ে রয়েছে এনডিএ
এমন এক পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-কে ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে পেতে হবে মাত্র ৪৩ হাজার ভোট। দেখা যাচ্ছে বিজেডি-র কাছে রয়েছে ৩১,৬৮৬ ভোট। এর সঙ্গে যদি ওয়াই এস কংগ্রেসের ভোট পাওয়ারটা একবার দেখে নেওয়া যায়, তাহলে দেখা যাচ্ছে জগনমোহন রেড্ডির দলের কাছে রয়েছে ৪৩,৪৫০ ভোট। সুতরাং দেখাই যাচ্ছে যে বিজেডি এবং ওয়াই এস আর কংগ্রেসের সমর্থন যদি এনডিএ নিতে পারে তাহলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন জয় একশো শতাংশ নিশ্চিত। শুধু দ্রৌপদী মূর্মূকেই যে প্রার্থী করার কথা বিজেপি চিন্তা করছে তা নয়, আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে আরও কিছু নাম জমা পড়েছে। সত্যি সত্যি কোনও আদিবাসীকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী করা হয় তাহলে বিজেপি বিরোধীদের পক্ষে তার বিরোধিতা করা অসম্ভব।