সংক্ষিপ্ত

পুলিশ গত ৫ আগস্ট এই তিন মহিলাকে গ্রেপ্তার করে এবং তাদের কাছ থেকে সায়ানাইড ও অন্যান্য অপরাধমূলক সামগ্রী উদ্ধার করে। এই মহিলাদের বিষ সরবরাহ করত এমন একজনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

পুলিশের মতে, এই মহিলারা চারটি খুনের সঙ্গে যুক্ত, যার মধ্যে তিন মহিলা জড়িত। এই বছরের জুন থেকে তাদের হত্যাকাণ্ড শুরু হয়েছিল, যখন এই মহিলারা প্রথমে নাগুর বি নামের এক মহিলাকে টার্গেট করেছিল। সায়ানাইডযুক্ত পানীয় পান করা অন্য দু'জন শিকার, বেঁচে গেলেও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পুলিশ গত ৫ আগস্ট এই তিন মহিলাকে গ্রেপ্তার করে এবং তাদের কাছ থেকে সায়ানাইড ও অন্যান্য অপরাধমূলক সামগ্রী উদ্ধার করে। এ ছাড়া মহিলাদের বিষ সরবরাহ করত এমন একজনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

অপরাধের সঙ্গে লিঙ্ক

অভিযুক্তদের একজন, মাদিয়ালা ভেঙ্কটেশ্বরীর আগে থেকেই অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ৩২ বছর বয়সী ভেঙ্কটেশ্বরী, তেনালিতে চার বছর স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করেছিলেন এবং তারপরে কম্বোডিয়ায় যান। যেখানে তিনি সাইবার অপরাধে তার কাজ শেখার চেষ্টা করেছিলেন। তার এই অপরাধের ইতিহাস ঘটনাটিকে আরও মর্মান্তিক করে তুলেছে।

পুলিশের কড়া হুঁশিয়ারি

তেনালির পুলিশ সুপার সতীশ কুমারের নেতৃত্বে তদন্তে মহিলারা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। পুলিশ জনসাধারণকে অপরিচিতদের থেকে সতর্ক থাকতে এবং অচেনা কারও থেকে পানীয় বা খাবার না খাওয়ার জন্য সতর্ক করেছে। এসপি কুমার বলেন, "আমরা সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি এবং অপরিচিতদের কাছ থেকে খাবার বা পানীয় গ্রহণ করবেন না কারণ এই ধরনের ঘটনা আবার ঘটতে পারে।"

জোলি জোসেফ হত্যা মামলার সঙ্গে তুলনা

কেরালার কুখ্যাত জলি জোসেফ সায়ানাইড হত্যা মামলার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে, যেখানে একজন মহিলা ১৪ বছরের মধ্যে ৬ জনকে সায়ানাইড দিয়ে হত্যা করেছিলেন। তেনালিতে এই ঘটনাটি আবারও মানুষের হৃদয়ে ভয় এবং সতর্কতার পরিবেশ তৈরি করেছে এবং অপরিচিতদের খুব দ্রুত বিশ্বাস না করার জন্য সতর্ক করেছে।

জনগণের কাছে পুলিশের আবেদন

পুলিশ মামলাটি তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং জনসাধারণের কাছে নতুন কোনও তথ্য নিয়ে আসার জন্য আবেদন করছে। এছাড়াও, তিনি অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে দ্রুত বন্ধুত্ব না করার এবং অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে খাবার বা পানীয় গ্রহণ না করার পরামর্শ দিয়েছেন। পুলিশ আশা করছে, এসব মহিলাকে গ্রেপ্তারের পর এই ধরনের ঘটনা বন্ধ হবে।