সংক্ষিপ্ত

পুলিশের সারমেয় বলে কথা। বলতে গেলে ব্রিলিয়ান্ট। কর্নাটকের (Karnataka) দেবানাগিরিতে, বৃষ্টির মধ্যে আট কিলোমিটার ছুটে এক মহিলার প্রাণ বাঁচাল সে এবং ধরা পড়ল খুনি।

পুলিশের সারমেয় বলে কথা। বলতে গেলে ব্রিলিয়ান্ট। কর্নাটকের (Karnataka) দেবানাগিরিতে, বৃষ্টির মধ্যে আট কিলোমিটার ছুটে এক মহিলার প্রাণ বাঁচাল সে এবং ধরা পড়ল খুনি।

বৃহস্পতিবার, কর্নাটকের চাল্লাগিরি তালুকের অন্তর্গত সান্থেবেন্নুকে পেট্রোল পাম্পের কাছে উদ্ধার হয় একটি মৃতদেহ। টহলদারির সময় পুলিশের মোবাইল ভ্যানের নজরে আসে সেই দেহ। সঙ্গে সঙ্গে তারা থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশের বিশেষ দল।

এসপি (SP) উমা প্রশান্তের নির্দেশে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কর্নাটক পুলিশের সারমেয় ‘টুঙ্গা ২’। সঙ্গে ছিল তাঁর পরিচালক। নিহত ব্যক্তির জ্যাকেট শুঁকতে শুরু করে সেই সারমেয়। এরপরই দৌড়তে শুরু করে ‘টুঙ্গা ২’। সে একেবারে ভয়ানক দৌড়। সঙ্গে দৌড়তে থাকেন তাঁর হ্যান্ডলারও। প্রায় ৮ কিলোমিটার দৌড়নোর পর, একটি বাড়ির সামনে গিয়ে সে থামে। বাড়িতে তখন তুমুল ঝগড়াঝাঁটি চলছে।

পুলিশ বাড়ির ভিতর ঢুকে দেখে যে, এক মহিলাকে মারধর করছেন এক ব্যক্তি। মহিলাকে এতটাই আঘাত করা হয়ে যে, তিনি প্রায় জ্ঞান হারাতে বসেছিলেন। পুলিশের সারমেয় ছুটে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, সেই মহিলার নাম রূপা। আর তাঁকে মারধর করছিলেন এক ব্যক্তি, যার নাম রঙ্গস্বামী।

তাঁকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, পেট্রোল পাম্পের কাছে যে যুবকের দেহ পাওয়া যায়, তাঁর নাম সন্তোষ। রঙ্গস্বামীর সন্দেহ ছিল যে, এই সন্তোষের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রূপার একটি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। সেই কারণেই তাঁকে খুন করেন রঙ্গস্বামী। এইরকমই জানিয়েছে পুলিশ।

আসলে ঘটনাস্থল থেকে রঙ্গস্বামীর গায়ের গন্ধ পেয়েই ধাওয়া করতে শুরু করে ‘টুঙ্গা ২’। পুলিশ জানিয়েছে, সন্তোষকে খুনের পর স্ত্রী রূপাকেও খুন করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। সেইজন্যই নিজের গ্রাম চান্নাপুরায় ফিরে যান রঙ্গস্বামী। পুলিশের সারমেয়র জন্যই প্রাণে বাঁচেলেন রূপা। আপাতত তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।