Raja Raghuvanshi News: রাজাকে মেরে গা-ঢাকা দেওয়ার জন্য বাংলাকে বেছে নিয়েছিল সোনম। কিন্তু কেন? বিশদে জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন… 

Raja Raghuvanshi News: হানিমুনে গিয়ে খুন! মেঘালয়ে খুন হওয়া রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডে এবার জুড়ল শিলিগুড়ির নাম। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, স্বামী রাজাকে খুন করার পর বাংলার শিলিগুড়িতে এসে গা-ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ মুহুর্তে ভেস্তে যায় সব প্ল্যান। কীভাবে কী করবেন সবকিছু ঠিক করা থাকলেও পুলিশের চাল বদলে শিলিগুড়ির বদলে বেনারস-গাজিপুর রোডের পাশে একটি ধাবায় আশ্রয় নেয় সোনম।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৮ জুন শিলিগুড়ি যাওয়ার কথা ছিল সোনমের। কিন্তু এক অভিযুক্ত ধরা পড়ে যাওয়ায় রাজার একটি ফোনকল গন্তব্য বদলে দেয় সোনমের। তবে এদিকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, দেশে এত ধাবা থাকতে কেন শিলিগুড়িকেই বেছে নিয়েছিল সোনম? যদিও এই প্রশ্নের এখনও পর্যন্ত কোনও সদুত্তর মেলেনি। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

 সূত্রের খবর, গত ২৩ মে শিলং–এর সোহরা এলাকায় রাজাকে রঘুবংশীকে খুনের পরে সোনম নিজের রেনকোটটি আকাশ নামের এক অভিযুক্তকে দিয়ে নিজে একটি বোরখা পরে নেন। যাতে পালানোর সময়ে তাকে কেউ চিনতে না পারে। আর সেই জন্যই খুনের অন্যতম চক্রী তথা সোনমের প্রেমিক রাজা কুশওহায়া আগে থেকেই বিশাল চৌহান নামে অন্য এক অভিযুক্তের হাত দিয়ে সোনমের জন্য বোরখা পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, নিজের পোশাক পরিবর্তনের পরে সোনম পাহাড়ি ওই এলাকা থেকে শহরে আসার জন্য আকাশের স্কুটিতে রওনা হয়। এরপর পুলিশ বাজার এলাকায় পৌঁছে সেখান থেকে একটি ট্যাক্সিতে চেপে সোজা চলে যায় সে গুয়াহাটি বাসস্ট্যান্ডে। পরেরদিন সকালে সোনম শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসে নামে।

জানা গিয়েছে, এরপর ওই এলাকার একটি দোকানে প্রাতঃরাশ সেরে পাশের একটি কাউন্টার থেকে পাটনা যাওয়ার বাসের টিকিট কাটেন তিনি। এরপর পাটনা পৌঁছে সেখান থেকে আরা স্টেশনে যান। উঠে পড়েন লখনউগামী ট্রেনে। ট্রেন থেকে নেমে ফের চাপেন ইন্দোরগামী বাসে। 

এই বিষয়ে ⁠মধ‍্যপ্রদেশ পুলিশের দাবি, ২৫ মে ইন্দোরের দিওয়াস গেটের কাছে একটি ভাড়া করা ফ্ল্যাটে ওঠেন সোনম। ৭ জুন পর্যন্ত সবকিছুই পরিকল্পনামাফিক চলছিল। সোনম বাইরে না বেরোলেও প্রেমিক রাজের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন মোবাইলের মাধ্যমে। দু’জন পরিকল্পনা করেন যে ৮ জুন সোনম শিলিগুড়ির দিকে রওনা দেবেন।

পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছএ আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, এরপর সেখানে গিয়ে কোনও একটি ফাঁকা জায়গায় থাকা চায়ের দোকানে বিধ্বস্ত অবস্থায় সোনম স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী বলবেন যে, ‘’আমার নাম সোনম রঘুবংশী। বাড়ি মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে। মেঘালয় থেকে অপহরণের পরে মাদক জাতীয় কিছু খাইয়ে আমাকে এখানে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।বিয়ের পরে স্বামী রাজা রঘুবংশীর সঙ্গে শিলং-এ হানিমুনে গিয়েছিলাম। কয়েকজন দুষ্কৃতী আমার স্বামীকে খুন করে আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে।'' এই বয়ানে পুলিশকে বিভ্রান্ত করে পরবর্তী প্ল্যান ছকে নেওয়ার সময় পাওয়া যাবে বলেই মনে করেছিল সোনম ও তার সহযোগিরা।

যদিও এতপর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও ৮ জুন সকালে গোটা পরিস্থিতি বদলে যায়। রাজার মাথায় কাটারি দিয়ে আঘাত করা আকাশ রাজপুতকে উত্তরপ্রদেশের ললিতপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এতেই ঘাবড়ে গিয়ে কৌশল পাল্টে ফেলেন সোনম এবং রাজ। ঠিক হয়, শিলিগুড়ি না গিয়ে উত্তরপ্রদেশ চলে যাবেন সোনম। আর তারপরই পুলিশের জালে ধরা পড়ে সোনম ও তার প্রেমিক। 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।