Air India Plane Crash: আহমেদাবাদে ভয়ঙ্কর বিমান বিপর্যয়ে আরও বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। দুর্ঘটনার একদিন পর প্রকাশ্যে এলো আরও মর্মান্তিক তথ্য। বিশদে জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন…
Air India Plane Crash: চোখেমুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট প্রত্যক্ষদর্শীদের। আহমেদাবাদের এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় ২৪১ জন যাত্রীই প্রাণ হারিয়েছেন। সরকারি তরফে বিবৃতি দিয়ে সেই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এবার এলো আরও এক মর্মান্তিক খবর। ২৪১ নয়, বৃহস্পতিবারের বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৭৪ জন। অসামরিক সূত্রে খবর, আহমেদাবাদের মেঘানিনগরের ডাক্তারি পড়ুয়াদের হোস্টেলের ছাদে বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৭৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। কারণ, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে থাকা অনেক সাধারণ নাগরিকেরও মৃত্যু হয়েছে সেদিন।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ১২ জুন দুপুরে আহমেদাবাদ থেকে লন্ডন গ্যাটউইকগামী ফ্লাইট AI171-এ থাকা ২৪১ জন মৃতের তালিকায় জুড়েছে দুর্ঘটনাস্থলে থাকা আরও মানুষের নাম। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটি বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে আছড়ে পড়ে। তার পর তাতে হয় বিরাট বিস্ফোরণ। ছিটকে পড়ে বিমানের বাকি জ্বলন্ত অংশ। এর জেরে হস্টেলের বাসিন্দারা ছাড়াও ওই এলাকায় থাকা সাধারণ মানুষও এই দুর্ঘটনার শিকার হন।
জানা গিয়েছে, বিমানে ২৪১ জন ছাড়াও আরও ৩৩ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়। এছাড়াও, ওই ৩৩ জনের মধ্যে মেডিক্যাল কলেজের ছয় MBBS পড়ুয়া, একজন জুনিয়র চিকিৎসক এবং ১০ বছরের এক কিশোরও রয়েছে। বাকিদের পরিচয় সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। প্রচন্ড আগুনের তাপে পুড়ে কাঠ হয়ে যাওয়া দেহ শনাক্তকরণে এখন ভরসা শুধু ডিএনএ টেস্ট ও দাঁত।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI171, উড্ডয়নের কয়েক সেকেন্ড পরেই ভেঙে পড়েছিল। ২৪১ জন মারা গিয়েছিলেন এবং মাত্র একজন বেঁচে গিয়েছেন। এখন এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে, চারটি প্রযুক্তিগত তত্ত্ব উঠে এসেছে যা ব্যাখ্যা করে, কেন বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিধ্বস্ত হয়েছিল।
১. একক ইঞ্জিনের ব্যর্থতা এবং ল্যান্ডিং গিয়ার না ওঠা:-
তদন্তকারীরা বিশ্বাস করেন যে উড্ডয়নের পরপরই, একটি ইঞ্জিন ব্যর্থ হয়েছিল বা একটি পাখির সাথে ধাক্কা লেগেছিল। এর ফলে হঠাৎ ককপিটে থাকা উভয় পাইলটের কাজের চাপ বেড়ে গিয়েছিল। এটা সম্ভব যে এই চাপের কারণে তারা ল্যান্ডিং গিয়ার বাড়াতে ভুলে গিয়েছিলেন, যার ফলে বিমানের উপর টানাটানি বেড়ে যায় এবং এটি উচ্চতা অর্জন করতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে, যদি গতি সর্বনিম্ন থেকে নিচে নেমে যায়, তাহলে বিমানটি থেমে যেতে পারে - এবং ৪০০ ফুট উচ্চতায় এটি থেকে পুনরুদ্ধার করা অসম্ভব।
২. বিরল: দ্বৈত ইঞ্জিনের ব্যর্থতা:-
আরেকটি তত্ত্ব হল উভয় ইঞ্জিন হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে বিমানটি ভারী গ্লাইডারের মতো হয়ে যায় - কোনও ধাক্কা (ধাক্কা) ছাড়াই। ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেলে, ল্যান্ডিং গিয়ার বাড়ানো যাচ্ছিল না এবং গতি দ্রুত কমে গিয়েছিল, যার ফলে বিমানটি থেমে গিয়েছিল। এত কম উচ্চতায়, ইঞ্জিনগুলি পুনরায় চালু করার বা চেকলিস্ট চালানোর সময় ছিল না।
৩. ফ্ল্যাপগুলির ভুল অবস্থান:-
ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে টেকঅফের সময় ফ্ল্যাপগুলি প্রত্যাহার করা হয়েছিল (বন্ধ), যেখানে কম গতিতে আরও লিফট পাওয়ার জন্য টেকঅফের সময় ফ্ল্যাপগুলি সর্বদা খোলা রাখা হয়। যদি কোনও কারণে পাইলট ইঞ্জিন ব্যর্থতার ক্ষেত্রে ফ্ল্যাপগুলি বন্ধ করে দেন, তবে এটি লিফট হ্রাস করে এবং বিমানটি উচ্চতা হারায়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


