সংক্ষিপ্ত

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি সমস্ত মিশনের লক্ষ্যমাত্রা পুরণ করেছে বলে জানান হয়েছে।

প্রতিরক্ষাখাতে আবারও বড় সাফল্যের মুখ দেখল ভারত। এদিন স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (ballistic missile) 'প্রলয়' (Pralay) -এ উৎক্ষেপণ পরীক্ষায় সফল হয়েছে। দাবি করেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা বা ডিআরডিও (DRDO)। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, এটি কঠিন জ্বালানির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।  যুদ্ধক্ষেত্রে আর্থ ডিফেন্স ভেহিক্যালের ওপর ভিত্তি করে ব্যালিস্টিক মিসাইলটির প্রোগ্রাম করা হয়েছে। 


বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি সমস্ত মিশনের লক্ষ্যমাত্রা পুরণ করেছে বলে জানান হয়েছে। ডিআরডিও নতুন প্রজন্মের  সার্ফেস টু সার্ফেস মিসাইল। নাম রাখা হয়েছে প্রলয়। এটি  এই প্রথম পরীক্ষা করল। ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা ১৫০-৫০০ কিলোমিটার। অর্থাৎ এই দূরত্বের যেকোনও টার্গেটকে এটি আঘাত করেত পারে। এটি মোবাইল লঞ্চার থেকেই উৎক্ষেপণ করা যায় বলেও জানিয়েছে ডিআরডিও। 

কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে একটি আধা ব্যালিস্টিক সারফেস-টু-সারফেস মিসাইল পরীক্ষা করা হয়েছে। এটি উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র। এটি ইন্টারসেপ্টর মিসাইলকে পরাস্ত করতে সক্ষম। এটি একটি নির্দিষ্ট পরিসরে মধ্য আকাশ জুড়ে তার গতিবিধি পরিবর্তন করতে পারে। ট্র্যাকিং ডিভাইসের একটি ব্যাটারি উপকূল রেখা বরাবার  মিসাইলের গতিপথ পর্যবেক্ষণ করেছে বলে ডিআরডিও-এর পক্ষ থেকে জানান হয়েছে। 

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে ডিআরডিও-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি এটির সফল উন্নয়নের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে অভিনন্দন জানিয়ছেন। আধুনিক সারফেস টু সারফেস ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ফাস্ট ট্র্যাক উন্নয়ন ও সফল উৎক্ষপণের জন্য তাদের আমরা আভিনন্দন বলেও বার্তা দিয়েছেন তিনি। এটিকে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক বলেও তিনি বর্ণনা করেছেন। 

প্রয়ল হল একটি ক্যানিস্টারাইজড সারফেস -টু- সারফেস ট্যাকটিক্যা শর্ট রেঞ্জ ব্যালিস্টিক মিসাইল। এটি যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল ডিফেন্স প্রোগ্রামের পৃথ্বী ডিফেন্স ভ্যেহিক্যাল এক্সোএট্মস্ফিয়ারিক ইন্টারসেপ্টর মিসাইলের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। প্রলয় নামের এই ব্যালিস্টিক মিসাইলের প্রকল্পটি মার্চ ২০১৫ থেকে শুরু হয়েছিল। এটি তৈরির জন্য বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছিল হয়েছিল ৩৩২.৮৮ কোটি টাকা। 

গত শনিবারও পাকিস্তান ও চিনের ক্রমাগত হুমকির মাঝে দাঁড়িয়ে ওড়িশার বালাসোরের সমুদ্র উপকূল  থেকে সফল উৎক্ষেপণ হল পারমাণবিক সক্ষম কৌশলগত অগ্নি প্রাইম মিসাইলের (Nuclear Capable Strategic Agni Prime Missile) সফল উৎক্ষেপণ করে ভারত। এটি এক হাজার থেকে দুই হাজার কিলোমিটারের মধ্যে যে কোনও লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে সক্ষম। এটি অগ্নি  (Agani Missile) শ্রেণীর আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র। এটি ক্যানিস্টারাইজড ক্ষেপণাস্ত্র বলেও দাবি করেছেন এক সরকারি অধিকর্তা। অগ্নিপ্রাইম মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা বা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভপলমেন্ট সংস্থাকে (DRDO)।

Nagaland Killing: বিক্ষোভে উত্তাল কোহিমা, সেনার বিশেষ ক্ষমতা প্রত্যাহারের দবিতে আন্দোলন

LeT Terrorist Killed: শ্রীনগরে বড় সাফল্য বাহিনীর,নিহত লস্করের পাকিস্তানি জঙ্গি

পাঞ্জাব সেক্টরে রাখা হয়েছে রাশিয়ার S-400 Missile, কিন্তু কেন জানেন কী