সংক্ষিপ্ত
জনতা দল (ইউনাইটেড) থেকে বহিষ্কৃত হলেন প্রশান্ত কিশোর।
তিনি দলের সহ-সভাপতি ছিলেন।
সিএএ বিরোধিতায় মুখ খুলে বিতাড়িত বিশিষ্ট নেতা পবন ভার্মা-ও।
দীর্ঘদিন ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক পরামর্শদাতার সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়ছিল।
বুধবার জনতা দল (ইউনাইটেড) দল থেকে বহিষ্কার করা হল দলের প্রাক্তন সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোর ও বিশিষ্ট নেতা পবন ভার্মাকে। প্রশান্ত কিশোর ও জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমারের মধ্যে কথার লড়াই যে জায়গায় পৌঁছেছিল তাতে এটা প্রত্যাশিতই ছিল। নীতিশ দাবি করেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ-এর নির্দেশেই নাকি প্রশান্ত-কে তাঁদের দলে নেওয়া হয়েছিল। যা সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে দাবি করে প্রকাশ্যেই প্রশান্ত কিশোর নীতিশের সমালোচনা করেছিলেন।
বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করার জন্য প্রশান্ত কিশোর ও পবন ভার্মা দুজনেই নীতিশ কুমার-কে আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে প্রবল বিরোধী অবস্থান নেওয়া প্রশান্ত কিশোরের থেকে তিনি নিজের অবস্থান আলাদা করতে চাইছেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, যাদের পার্টিতে থাকার ইচ্ছে হবে তারা থাকবে, বাকিরা চাইলে চলে যেতে পারে।
আরও পড়ুন - 'করোনাভাইরাসের মতো', নিজের দলেই কোনঠাসা মমতার পরামর্শদাতা
গত একমাস ধরেই প্রশান্ত কিশোর, অমিত শাহসহ বিজেপি বিশিষ্ট নেতাদের নাগরিকত্ব আইনের বিষয়ে প্রশ্নবানে বিদ্ধ করছেন। দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ছিল। প্রশান্ত কিশোর রাজনৈতিক কৌশলবিদ হিসেবে আম আদমি পার্টির (এপি) প্রচার চালাচ্ছেন, অন্য দিকে তাঁর দল বিজেপির সঙ্গে জোট করে দিল্লি বিধানসভার দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। কফিনে শেষ পেরেক ছিল নীতিশ কুমার-এর সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের বাকযুদ্ধ।