সংক্ষিপ্ত
সূত্র মতে, সেনা আইন, ১৯৫০-এর অধীনে ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতি প্রায় এক সপ্তাহ আগে অভিযুক্ত মেজরের চাকরির অবসানের আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন।
স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ডে (এসএফসি) নিযুক্ত ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন মেজরকে তার চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু উচ্চ পর্যায়ের তদন্তে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে ব্যবস্থা নেন। মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, সংবেদনশীল তথ্যের আদানপ্রদান এবং শেয়ারিং সহ সন্দেহজনক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে ওই মেজরের বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরে ২০২২ সালের মার্চ মাসে সেনাবাহিনী মেজরের কার্যকলাপের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছিল। সূত্র মতে, সেনা আইন, ১৯৫০-এর অধীনে ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতি প্রায় এক সপ্তাহ আগে অভিযুক্ত মেজরের চাকরির অবসানের আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর তার নোটিফিকেশন জারি করা হয়।
সূত্রের খবর, অভিযোগ সামনে আসার পরই 'বোর্ড অফ অফিসারস' নিয়োগ করা হয়। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থায় কর্মরত এক ব্যক্তির সঙ্গে মেজরের যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ। মেজরের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িত থাকার অভিযোগ এবং অননুমোদিত ব্যক্তিদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করার অভিযোগ রয়েছে। মেজরের ফোনে কিছু এমন তথ্য পাওয়া গেছে যা নির্ধারিত নিরাপত্তা প্রটোকল লঙ্ঘন করে।
একজন ব্রিগেডিয়ার পদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ বেশ কিছু প্রতিরক্ষা কর্মীকে জাতীয় নিরাপত্তা প্রোটোকলের সম্ভাব্য লঙ্ঘনের জন্য আলাদাভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। সূত্রের মতে, সেনাবাহিনীর সোশ্যাল মিডিয়া নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে একজন ব্রিগেডিয়ার সহ অন্তত কিছু অফিসারের বিরুদ্ধে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে