সংক্ষিপ্ত

  • দিল্লির হিংসা নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন মোদী
  • শান্তি বজায় রাখার আবেদন প্রধানমন্ত্রীর
  • ট্যুইট বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর
  • পরিস্থিতি পর্যালোচনায় মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন

রবিবার থেকে জ্বলছে দিল্লি। উত্তেজনা এখনও প্রশমিত হয়নি উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে। ক্রমেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে শতাধিক মানুষের। রাজধানীর এই অশান্ত পরিস্থিতিতে গত ৭২ ঘণ্টায় চুপ ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অবশেষে বুধবার নিজের ট্যুইট বার্তায় রাজধানীতে শান্তি ফেরানোর কথা বললেন নরেন্দ্র মোদী।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে উদ্ধার আইবি অফিসারের দেহ, শাহের পদত্যাগ দাবি সনিয়ার, ট্রাম্প যেতেই ট্যুইট মোদীর

গত সোমবার দুদিনের সফরে এদেশে এসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সফরে ট্রাম্পের ছায়াসঙ্গী ছিলেন বন্ধু মোদীও। মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য তিনি আতিথেয়তার কোনও ত্রুটি করেননি। ট্রাম্পের এই সফরে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ট্রাম্পের ভারত সফরের সময় রাজধানী উত্তাল হলেও নীরব ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যা নিয়ে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে শুরু হয় চাপানউতোর। অবশেষে ট্রাম্প দেশ ছাড়তেই দিল্লিবাসীকে শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার আর্জি জানালেন নরেন্দ্র মোদী।

আরও পড়ুন: অশান্ত ভারতের রাজধানী দিল্লি, নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হিংসার ছবি

বুধবারেট ট্যুইটে মোদী লেখেন, "শান্তি ও সম্প্রীতি আমাদের নৈতিক আদর্শ। দিল্লির বোন ও ভাইয়েদের কাছে শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার জন্য আবেদন করছি। শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনাই এখন লক্ষ্য।"

 

দ্বিতীয় ট্যুইটে মোদী লেখেন, "দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তের পরিস্থিতি আমি খতিয়ে দেখেছি। অতি দ্রুত যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, শান্তি ফিরে আসে, তার জন্য পুলিশ ও অন্য সংস্থাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কাজ করে চলেছে।"

 

 

দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করতে এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকও ডাকেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। এদিন উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসা কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শনে যান ডোভাল। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্টও দিয়েছেন ডোভাল।