সংক্ষিপ্ত

জম্মু ওকাশ্মীর নিয়ে বৈঠক 
২৪ জুন বৈঠক হতে পারে 
বৈঠক ডেকেছেন নরেন্দ্র মোদী 
থাকবেন ভূস্বর্গের নেতারা 

জম্মু ও কাশ্মীর কী আবারও ফিরে পাবে রাজ্যের তকমা? আগামী ২৪ জুন রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে তাই নিয়ে আলোচনা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর সেই বৈঠকেই তিনি তুলে ধরবেন জম্মু ও কাশ্মীরকে কী করে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া যায় তারই রুপরেখা। গত কয়েক মাস ধরেই গোটা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। তবে আগের মত রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পেলেও কাশ্মীরীদের আগের আগের মত বিশেষ কোনও ক্ষমতা থাকছে না। রাজনৈতিক পর্যালোচকদের মতে জম্মু ও কাশ্মীরকে যদি রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তা হবে মোদী সরকারের একটি বিশেষ সাফল্য। 

খুব তাড়াতাড়ি কোভিড টিকা দেওয়া হবে গর্ভবতীদের, করোনার তৃতীয় তরঙ্গের মোকাবিলায় পদক্ষেপ ...

সূত্রের খবর জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে এজাতীয় পদক্ষেপের জন্য সংসদের অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে। সূত্রের খবর রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হলেও সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ ফিরিয়ে আনা হবে না। সেই নিয়ে কোনও আলোচনা হবে না। তবে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করাও জরুরি। ২০১৮ সালের পরে আর সেখানে বিধানসভার ভোট হয়নি। বিধানসভা নির্বাচনেই আগেই রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিয়ে ভোট বাক্সে সাফল্যে পাওয়ার চেষ্টা করছে মোদী সরকার। আর সেই কারণে জম্মু কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতা- মেহবুবা মুফতি, ওমর আব্দুল্লাহসহ প্রথম সারির ১৪ জন নেতাকে চিঠি দিয়ে দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানান হয়েছে। তাঁর ২৪ জুনের বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথাও বলা হয়েছে। 

কোভিডের রূপ পরিবর্তন আটকে হবে, না হলেই সামনে বড় বিপদের হুঁশিয়ারি AIIMSএর চিকিৎসকের ...

বিষয়টি নিয়ে ভূস্বর্গেও শুরু হয়েছে তৎপরতা। ওমর আব্দুল্লাহ ইতিমধ্যেই স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করছেন। মহেবুবা মুফতির পিডিপিও দলীয় স্তরে বৈঠক নিয়ে আলোতনা করছে। সূত্রের খবর প্রধানমন্ত্রী সম্ভবত ভূস্বর্গের নেতাদের রাজনৈতিক স্থিরতা বাজায় রাখার বিষয়ে, স্থানীয় পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন। আর এরই মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহলে ঐক্যবদ্ধ ভারতের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। 

প্রাকৃতির তাণ্ডবে তলিয়ে যাচ্ছে শিবমূর্তি , হৃষিকেশ-ত্রিবেনীতে নদীর জল বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে ... R

২০১৯ সালের ৫ আগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়েছিল। রোদ করা হয়েছিল সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ। তারপর থেকে দীর্ঘ দিন জম্মু ওকাশ্মীরকে প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছিল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস, শ্রীনগরে প্রবেশের জন্য প্রয়োজন ছিল বিশেষ অনুমতিরও। সকলকে সেই অনুমতিও দেওয়া হয়নি।  রাজনৈতিক নেতাদের গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। পরবর্তীকালে অবশ্য ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পঞ্চায়েত আর জেলা পরিষদের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয় কেন্দ্র শাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে।