সংক্ষিপ্ত

  • করোনার তৃতীয় তরঙ্গের জন্য দায়ি হতে পারে বাজার 
  • বাজারে অত্যাধিক ভিড় হচ্ছে মানা হচ্ছে না নিয়মবিধি 
  • করোনার রূপ পরিবর্তনকে আটকাতে হবে 
  • তাহলেই রুখে দেওয়া যাবে পরবর্তী তরঙ্গ
     

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গে ধাক্কা কাটিয়ে উঠে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চলছে দেশ। কিন্তু এই অবস্থায় সংক্রমণ নিয়ে আরও উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে বাজার বা মার্কেট প্লেসগুলি। কারণ বাজারগুলিতে রীতমত ভিড়ের ছবি ধরা পড়েছে। যেখানে অধিকাংশ মানুষই করোনাভাইরাস সংক্রান্ত প্রোটোকলকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মাস্ক না পরেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দেশের অধিকাংশ বাজারগুলিতেই মান হচ্ছে না নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব। আর এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের মেডিসিন বিভাগের সহকারী চিকিৎসক নীরজ নিশাল। তিনি বলেছেন, 'আমরা কোভিড ভাইরাসের জিন পরিবর্তনকে যদি আটকাতে না পারিছি না।' আর সেই কারণেই দেশকে আরও কতগুলি কোভিড ঢেউটের মুখোমুখি দাঁড়াতে হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। 

কেউ জানেন, কেউ জানেন না, কোভিড মহামারি রুখতে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন পূর্ব বর্ধমানে ...

অল ইন্ডিয়ার মেডিক্যাল ইন্টিটিউ অব মেডিক্যাল সায়েন্স (AIIMS) এর চিকিৎক সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে কোনও দেশে মহামারির প্রথম দুটি তরঙ্গ খুবই গুরুত্বপূর্ণ-এটি হল ভাইরাসজনিত আর মহামারির মানব সম্পর্কিত কারণ। ভাইরাসের রূপান্তর কারও হাতে নেই। কিন্তু উপযুক্ত আচরণ করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হ্রাস টানতে পারে। 

করোনা টিকা ডেকে আনবে সন্তানহীনতা, আশঙ্কায় ত্রস্ত স্থানীয়দের পাশে প্রশাসন ..

চিকিৎসকের কথায়, যখন ভাইরাসটি পরিবর্তিত হয় তখন সেটি আরও বেশি পরিমাণে সংক্রামক হয়ে যায়। এটি এমন একটি বিষয় যা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তবেব এটি অবশ্যা ঠিক যে আমরা যদি জীবাণুটিতকে আমাদের শরীরে প্রতিলিপি করতে না দিই তাহলে জীবাণুটির রূপান্তর এড়ানো যাবে। তাকেই করোভাইরাসের সংক্রমণে লাগাম পরানো যেতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন ১৫-১৬ মাস কোভিড সংক্রান্ত প্রোটোকলগুলি যদি মেনে চলা হয় তাহলেই কোভিডের ঢেউ পুরোপুরি আটকানো যাবে। দ্বিতীয় তরঙ্গের ক্ষেত্রেও তা ঘটেছিল বলেও তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।করোনাভাইরাসের টিকা কর্মসূচি নিয়েও আশা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক নিশাল। তিনি বলেছেন এটি সংক্রমণ প্রতিহত করতে সাহায্য করবে।  তিনি আরও বলেছেন সমীক্ষা করে দেখা গেছে টিকা নেওয়ার পরেও যদি কেউ সংক্রমিত হয় তবে সংশ্লিষ্টের অবস্থা খুব একটা গুরুতর হয় না। 

অনুমোদনের অপেক্ষায় কোভিড টিকা ZyCov-D, ছাড়পত্র পেলেই টিকা পাবে শিশুরা ... R

AIIMSএর আরও এক চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়াও তৃতীয় তরঙ্গ নিয়ে সচেতন করতে শুরু করেছেন। তিনি বলেছেন এখনই যদি কোভিড প্রটোকলগুলি না মানা হয় তাহলে দেশে তৃতীয় তরঙ্গ অনিবার্য। আগেই একাধিক চিকিৎসক আর বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যেই দেশে তৃতীয় তরঙ্গ আছড়ে পড়তে পারে। আর তা যদি হয় তাহলে তা দ্বিতীয় তরঙ্গের তুলনায় তা ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।