সংক্ষিপ্ত

বৃহস্পতিবারের ঘটনা। স্কুল চত্ত্বরের মধ্যেই উদ্ধার হয়েছিল ক্লাস ওয়ানের এক ছাত্রীর দেহ। তাতে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

 

হাড়হিম করা ঘটনা ঘটল নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাটে। নিজের যৌন লালসা চরিতার্থ করতে না পেরে ৬ বছরের স্কুল ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ উঠল স্কুলেরই প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত প্রিন্সিপালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্কুল ছাত্রীর নিথর দেহ স্কুল চত্ত্বরেই ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল। ব্যাগ জুতো, সবকিছুই ক্লাসরুমের কাছে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।

গত বৃহস্পতিবারের ঘটনা। স্কুল চত্ত্বরের মধ্যেই উদ্ধার হয়েছিল ক্লাস ওয়ানের এক ছাত্রীর দেহ। তাতে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্কুলের মধ্যে খুনের ঘটনা কী করে ঘটল তা নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পডডে এলাকায়। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তাতেই জানা যায় ৬ বছরের মেয়েটিতে শ্বাসরোধ করে কুন করা হয়েছে। পুলিশ অস্বাভাবিক হত্যা মামলা রুজু করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যায়।

স্কুলে হত্যাকাণ্ডের রহস্যের মিমাংশা করতে পুলিশ ১০ জনের একটি তদন্তকারী দল গঠন করে। মেয়েটির মা পুলিশকে জানিয়েছিল ৬ বছরের ছাত্রী প্রতিদিনই অধ্যক্ষ গোবিন্দ নটের সঙ্গে স্কুলে যেত। পুলিশ অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে। অধ্যক্ষ জানিয়েছিল ছাত্রীকে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে তিনি ব্যক্তিগত কাজে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ শুধুমাত্র মুখের কথায় বিশ্বাস করেনি। পুলিশ গোবিন্দ নটের মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্রেস করে। তাতেই দেখা যায় ঘটনার দিন সে দেরি করে স্কুলে এসেছিল। কিন্তু অন্য কোথাও যায়নি। তারপরই পুলিশ গোবিন্দ নটকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পুলিশের জেরার ভেঙে পড়ে গোবিন্দ নট।

পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় গোবিন্দ নট গোবিন্দ খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটিকে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে বাড়ি থেকে নিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন অধ্যক্ষ। ছাত্রীর মা প্রিন্সিপালের গাড়িতে নিজের ছোট্ট মেয়েকে তুলে দিয়েছিল। কিন্তু সেই দিন ছাত্রীর আর স্কুলে আসা হয়নি। স্কুল পড়ুয়ারা জানিয়েছিল ছাত্রী সেই দিন একবারের জন্য স্কুলে আসেনি। একই কথা বলেছে স্কুল শিক্ষকরাও। অন্যদিকে গোবিন্দ নট জানিয়েছে, স্কুলে যাওয়ার পথেই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন করেছিল। ধর্ষণের চেষ্টাও করেছিল। কিন্তু ছাত্রী প্রতিবাদ জানায়। মেয়েটি রাস্তার মধ্য়েই চিৎকার করতে শুরু করে। এই ঘটনা যাতে পাঁচ কান না হয় তারজন্যই ৬ বছরের মেয়েটির গলা টিপে ধরে প্রিন্সিপাল। ঘটনাস্থলেই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। গাড়িতেই মেয়েটির দেহ দিনভর রাখা ছিল।

অধ্যক্ষ গাড়ি নিয়ে স্কুলে আসে। দেহ তখনও গাড়ির মধ্যে রাখা ছিল। বিকেল পাঁচটার দিকে স্কুল ছুটি হোয়ার পরেই ছাত্রীর দেহ স্কুল চত্ত্বরে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। স্কুল ব্যাগ, জামা , জুতো ক্লাসরুমের বাইরে রেখে দিয়ে আসে। উদ্দেশ্য ছিল সকলকে বিভ্রান্ত করা। যদিও প্রাথমিক জেরায় সবকিছুই অস্বীকার করেছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে সব স্বীকার করে গোবিন্দ নট।

গোবিন্দ নটের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের কঠোর সুরক্ষা আইনের অধীনে কঠোর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গুজরাটের শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী কুবের দিন্দর এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন এই ঘটনায় তিনি ব্যাথিত। কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।