সংক্ষিপ্ত

উত্তর প্রদেশের নির্বাচনী জনসভায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধী স্লোগান তুলেছেন মহিলা হলও লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু তাঁর সেই স্লোগানকেই হাতিয়ার করে কংগ্রেসের সরকারের বিরুদ্ধে আসরে নেমেছে পঞ্জাবের শিক্ষক পদপ্রার্থীরা।

বিধানসভা ভোটের আগে আবারও অস্বস্তিতে পঞ্জাবের (Punjab) কংগ্রেস  (Congress) সরকার। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর (Priyanka Gandhi) স্লোগানকে হাতিয়ার করেই পঞ্জাবে চাকরির দাবিতে সরব হয়েছিলেন শিক্ষক পদপ্রার্থীরা।  পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নির একটি জনসমাবেশের সামনেই চাকরির দাবিতে সরব হয়েছেন নারীসহ বহু চাকরিপদপ্রার্থী। কিন্তু পুলিশ বিক্ষোভের ওপর চড়াও হয়। বিক্ষোভকারীদের পুলিশ জিপে করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। 

উত্তর প্রদেশের নির্বাচনী জনসভায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধী স্লোগান তুলেছেন মহিলা হলও লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু তাঁর সেই স্লোগানকেই হাতিয়ার করে কংগ্রেসের সরকারের বিরুদ্ধে আসরে নেমেছে পঞ্জাবের শিক্ষক পদপ্রার্থীরা। তাঁরা দফায় দফায় বিক্ষোভ অবস্থানে সামিল হয়েছে। এই আন্দোলনের সামনের সারিতে রয়েছে মহিলারা। 

রাজ্যের B.Ed TET (শিক্ষকের যোগ্যতা) সার্টিফিকেট প্রাপ্ত শতশহত তরুণ তরুণ চাকরির দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নির সভার কাছেই তাঁরা চরণজিৎ সিং চন্নির বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিল। এই অবস্থায় পুলিশ তাদের আটকানোর চেষ্টা করে। সেই সময়ই পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পুলিশের আচরণ নির্মম হয়ে ওঠে। মহিলা পুরুষ নির্বিশেষ পুলিশ চড়াও হয় আন্দোলনকারীদের ওপর। পুলিশ আন্দোলকারীদের মুখ বন্ধ করতে তাদের মুখের ওপর কাপড় চেপেও ধরেছিল। মহিলার বিক্ষোভকারীদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। মহিলাসহ আন্দোলনকারীদের জোর জবরদস্তি পুলিশের গাড়িতে তোলা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। 

এই সমাবেশে পুরুষ আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয় মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নির অনুগামী ও কংগ্রেস সমর্থকরা তাদের ওপর চড়াও হয়। মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। একএক আন্দোলনকারীকে বেশ কয়েক জন মিলে মারধর করে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই আন্দোলনকারীদের ওপর এজাতীয় অত্যাচারের ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা কংগ্রেস সরকারের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। 

যদিও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিং সিং চন্নি এদিনের জনসভা থেকেই শিল্প ও কর্মসংস্থানের পক্ষেই সওয়াল করেন। তিনি বলেন তাঁর সরকার আগমী দিনে পঞ্জাবের ক্ষমতা দখল করে কর্মসংস্থানের ওপর জোর দেওয়া হবে। তবে পঞ্জাবে শিক্ষক পদপ্রার্থীদের চাকরির দাবিতে এটাই প্রথম আন্দোলন নয়। দীর্ঘ দিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক পদপ্রার্থীরা আন্দোলন করে যাচ্ছেন। তাঁদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা কেজরিওয়াল। তিনি পঞ্জাবে বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।