সংক্ষিপ্ত

স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করে দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করল স্বামী। শেষরক্ষা হয়নি, প্রতিবেশীদের তৎপরতায় ঘরে আসে পুলিশ।

 

গারহস্থ্য হিংসার ভয়ঙ্কর নজির পঞ্জাবে। স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করার পাশাপাশি প্রমাণ লোপাটের জন্য মৃত স্ত্রীর শেষকৃত্য বাড়িতেই করার চেষ্টা করেছিল এক ব্যক্তি। ৬০ বছরের ওই ব্যক্তিকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার। পঞ্জাবের গুরুদাসপুরের গিনানগরের কাছে।

পানিয়ার গ্রামের বসিন্দা সংসাদ চাঁদ। বয়স প্রায় ৬০ বছর। স্ত্রী বছর ৫৫র মাহিন্দ্রো। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই এই দম্পতির পরিবারের অশান্তি ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। তবে কী নিয়ে আশান্তি চলত তা কেউ জানত না। অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতেই স্বামীর হাতে খুন হয় স্ত্রী। স্ত্রীকে পিঠিয়ে হত্যা করে স্বামী। তারপর বাড়ির আশপাশ থেকে কাঠ জোগাড় করে স্ত্রীর নিথর দেহ পুড়িয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করেছিল সেই ব্যক্তি।

দিনানগর থানার পুলিশ মেজর সিং বলেছেন, সংসার চাঁদ একজন শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। স্ত্রীকে হত্যার পরে বাড়ির আশপাশ থেকে সে কিছু কাঠ সংগ্রহ করে। তারপরই বাড়িতে ঢুকে স্ত্রীর দেহতে আগুন লাগিয়ে। কিন্তু এই বাড়িতে থেকে আগুন আর ধোঁয়া বার হতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা ভয় পেয়ে যায়। তারাই আতঙ্কিত হয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে একটি অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় সংসার চাঁদ স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত ঝগড়া করত। তাঁকে লাঞ্ছিত করত। দম্পতির ছেলে হিমাচল প্রদেশে কাজ করে। কিন্তু সেদিন অত্যাধিক মারধর করায় স্ত্রী বাড়িতেই মারা গিয়েছিল। তারপর প্রমণ লোপাটের জন্য স্ত্রীর দেহ জ্বালিয়ে দিয়েছিল। তবে মারধরের কারণে না আগুনে পুড়ে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান হয়ছে। সিংসার চাঁদকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

ভারতে একাধিক প্রচার চালিয়ে বন্ধ করা যাচ্ছে না গারহস্থ্য হিংসা। ক্রমে তা বাড়ছে বলেও দাবি বিশেষজ্ঞদের।গত বছরের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০০১-২০১৮ সালের মধ্যে দেশে গারহস্থ্য হিংসা বেড়েছে প্রায় ৫৩ শতাংশ। যার অধিকাংশ গ্রামের মধ্যে সীমাবদ্ধ। যদিও অনেকেই এই যুক্তি মানতে নারাজ। তাদের দাবি বর্তমানে গারহস্থ্য হিংসার মামলা দায়ের করা হয়, স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী বা ছেলে মেয়েরা অভিযোগ জানাতে পারে। আর সেই কারণে সংখ্যা বেশি দেখায়।