সংক্ষিপ্ত
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দানবাক্সে জমা পড়ল ২৮ লক্ষ টাকা। জগন্নাথ মন্দিরে পাঁচ জন মিলে প্রণামীর খুচরো আর নোট গুনতে পাঁচ ঘণ্টা কাবার হয়ে গিয়েছে।
শুক্রবার (Friday) রেকর্ড করল পুরীর জগন্নাথ মন্দির। এই দিন ছিল অনল নবমী (Anala Navami)। এই দিনে দান করলে পুণ্য হয়, এমনই বিশ্বাস। সেই বিশ্বাস থেকেই পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath temple) দানবাক্সে (secret donations) জমা পড়ল ২৮ লক্ষ টাকা(Rs 28 lakh)। জগন্নাথ মন্দিরে পাঁচ জন মিলে প্রণামীর খুচরো আর নোট গুনতে পাঁচ ঘণ্টা কাবার হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে ছিল আরও সোনা-রুপো। গোপন দান চেম্বার হুন্ডিতে এই পরিমাণ টাকা জমা পড়েছে বলে খবর।
১২ শতকে তৈরি এই প্রাচীন মন্দিরে এত পরিমাণ টাকা প্রণামী আগে কখনও মেলেনি। শুক্রবার শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের (এসজেটিএ) আধিকারিক জানিয়েছেন, হুন্ডি আইন, ১৯৭৫ অনুসারে মন্দিরের ভিতরে স্থাপিত 'হুন্ডি'-তে মোট ২৮,১০,৬৯১ টাকা নগদ, ৫৫০ মিলিগ্রাম সোনা এবং ৬১.৭০ গ্রাম রূপো পাওয়া গেছে।
শুক্রবার ছিল 'অনল নবমী'। ভক্তদের বিশ্বাস ভগবান বিষ্ণুকে এই দিন কোনও কিছু উৎসর্গ করলে তার ফল ভালো হয়। এই দিন উৎসর্গ করার একটি প্রধান উত্সব। ভক্তরা ‘হুন্ডি’-তে বেনামে যেকোনো পরিমাণ দান করতে পারেন। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে কোভিড-১৯ মহামারী শুরুর পর থেকে প্রায় দুই বছরের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ অনুদান। শুভ 'অনল নবমী'তে মন্দিরে দান করার বিশ্বাস থেকেই এই রেকর্ড পরিমাণ অর্থ জমা পড়েছে বলে আধিকারিক জানান।
সাধারণ দিনে, 'হুন্ডি'-তে আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা নগদ পাওয়া যায়। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে আরো বলা হয়েছে, নোট ও কয়েন গুনতে পাঁচ জনের পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগেছে। 'হুন্ডি'-এর মাধ্যমে অনুদান দেওয়ার জন্য ভক্তরা আরও বেশি উৎসাহ দেখান। যেহেতু করোনা বিধি সামান্য শিথিল করা হয়েছে, তাই দেশ জুড়ে নানা প্রান্ত থেকে ভক্তরা মন্দিরে আসতে পারছেন। ফলে অনুদানের পরিমাণও বেশি বলে জানানো হয়েছে মন্দিরের তরফে।
Rahul Gandhi-হিন্দুত্ব মানেই শিখ-মুসলিমকে পেটানো, বিজেপিকে কটাক্ষ রাহুল গান্ধীর
Terrorists Killed- সাফল্যের তালিকা, চলতি বছরে সেনা-সিআরপিএফের হাতে খতম ১৩৮ জঙ্গি
উল্লেখ্য গত দুই বছর ধরে করোনার কারণে মন্দিরের দরজা বন্ধ ভক্তদের জন্য। বিশেষত রথযাত্রার সময়েও জগন্নাথদেবের দেখা পাননি পুণ্যার্থীরা। ২০২০-তে ভক্তশূণ্য ছিল রথযাত্রায় পুরী। কোভিড পরিস্থিতিতে ২০২১ সালেও রথযাত্রার পূণ্য তিথিতে সেই ছবিটাই ফিরে এল। না হলে প্রতিবার পুরীতে এই সময় অগুণতি ভক্তের উপচে পড়া ভীড়ের মাঝেই মাসির বাড়ির দিকে এগিয়ে চলে সুসজ্জিত ৩ টি রথ। কোভিডে কোথাও যেন তাই অনেক কিছুই ফিকে। তবু বুক ভরা আশা নিয়ে সবাই কোভিড মুক্ত বাইশ সালের অপেক্ষায়।