সংক্ষিপ্ত
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে মাত্র তিন বছরের জন্য। ন্যাশানাল হেরাল্ড মামলায় কোপে ১০ বছরের জন্য পাসপোর্ট পাবেন না কংগ্রেস নেতা।
দিল্লির একটি আদালত শুক্রবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে ১০ বছরের জন্য নয়, মাত্র তিন বছরের জন্য একটি সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যু করার জন্য অনাপত্তি শংসাপত্র (NOC) মঞ্জুর করছে। যদিও তাতে আপত্তি জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রাহ্মণ্য স্বামী। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সাংসদ হিসেবে অযোগ্য হওয়ার পরে তাঁর কূটনৈতিক পার্সপোর্ট জমা দিয়েছিলেন। তারপরই তাঁকে তিন বছরের জন্য সাধারণ পাসপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিন শুনানির সময় রাহুল গান্ধীর আইনজীবীকে অতিরিক্ত চেফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বৈভব মেহতা বলেন, 'আমি আংশিকভাবে আপনাদের আবেদনের অনুমতি দিচ্ছে। ১০ বছরের জন্য মাত্র তিন বছরের জন্য রাহুল গান্ধীকে পাসপোর্ট দেওয়া হবে।'
অন্যদিকে রাহুল গান্ধীরও পাসপোর্টের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ জুন মাসে রাহুল গান্ধীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে একটি বৈঠক করবেন। তাঁর ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক, সানফ্রান্সিকো সফরের কথা রয়েছে। কংগ্রেস নেতা সম্ভবন তৃতীয় ভারতীয় যিনি ইউএস ক্যাপিটালে আইন প্রণেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন ও ভাষণ দেবেন। যাইহোক মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সদস্য ও ওয়ালস্ট্রিট এক্সিইউটিভ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গেও তিনি আলোচনা করবেন।
ম্যাজিস্ট্রিয়াল কোর্ট শুরুতেই ন্যাশানাল হেরাল্ড মামলায় অভিযোগকারী ও তাঁর আইনজীবী ও বিজেপি সাংসদ সুব্রাহ্ম্ন্য স্বামীর বক্তব্য শোনার পরে এনওসি দেওয়ার জন্য রাহুল গান্ধীর আবেদনের ওপর তাঁর আদেশ সংরক্ষণ করেন। স্বামী এই আবেদনের বিরোধিতা করে বলেছিলেন, এটি 'রাহুল গান্ধীর পাসপোর্টের প্রয়োজনীয় নয়,তারপর তিনি মাত্র এক বছরের জন্য পাসপোর্ট দেওযার ওপর জোর দিয়েছিলেন। পাশাপাশি বলেছিলেন প্রতি বছর রাহুল গান্ধীকে পাসপোর্ট নবিকরণ করতে হবে। ১০ বছরের জন্য রাহুল গান্ধীকে পাসপোর্ট দেওয়া ঠিক নয় বলেও দাবি করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি রাহুল গান্ধীর ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। বলেছিলেন রাহুল একজন ব্রিটিশ নাগরিক।
গান্ধীর আইনজীবী তারান্নুম চিমা, স্বামীর দাবির বিরোধীতা করেছেন এবং বলেছেন যে নাগরিকত্ব ইস্যুতে কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যক্রম শুরু করার জন্য দুটি পিটিশন ইতিমধ্যে উচ্চ আদালত খারিজ করেছে। চিমা, অ্যাডভোকেট নিখিল ভাল্লা এবং সুমিত কুমারের সাথে, আদালতকে ১০ বছরের জন্য পাসপোর্ট ইস্যু করার অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন কারণ আরও গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে উচ্চ আদালত এই ধরনের ত্রাণ মঞ্জুর করেছে। তারা বলেন, বর্তমান মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়নি। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলাটি সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে স্বামীর একটি ব্যক্তিগত ফৌজদারি অভিযোগের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, ষড়যন্ত্র এবং অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে।
ম্যাজিস্ট্রিয়াল আদালত, ২০১৫ সালে সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীকে জামিন দেওয়ার সময় বলেছিলেন যে অভিযুক্তরা গভীর রাজনৈতিক তৃণমূলের বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং তারা পালিয়ে যাবে এমন কোনও আশঙ্কা নেই।
আরও প়ড়ুনঃ
মোদী সরকারের ৯ বছরে ৯টি প্রশ্ন কংগ্রেসের, দ্রুত উত্তর দেওয়ার দাবি বিরোধীদের