সংক্ষিপ্ত

কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। রাহুল গান্ধীর এই সৌজন্য মন ছুঁয়ে গিয়েছে নেটিজেনদের। রাহুল গান্ধীর টুইটে, মোদীর মা হিরাবেনের দ্রুত আরোগ্যের জন্য দেওয়া শুভেচ্ছাবার্তা দেওয়া হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেন মোদী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শারীরিক অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। এই পরিস্থিতিতে মেডিকাল বুলেটিনের ওপর ভরসা করছেন সবাই। এদিকে রাজনৈতিক ফ্রন্টে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর কট্টর বিরোধী কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে নরেন্দ্র মোদীর পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল। প্রধানমন্ত্রী মোদীর মায়ের তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়ার আশা প্রকাশ করে, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। রাহুল গান্ধীর এই সৌজন্য মন ছুঁয়ে গিয়েছে নেটিজেনদের। রাহুল গান্ধীর টুইটে, মোদীর মা হিরাবেনের দ্রুত আরোগ্যের জন্য দেওয়া শুভেচ্ছাবার্তা দেওয়া হয়েছে। এই বার্তা দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রশংসিত হচ্ছেন কংগ্রেস নেতা।

টুইটে লেখা হয়েছে মন ছুঁয়ে যাওয়া কথা

প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী তার টুইটে লিখেছেন, যা সকলের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। রাহুল লিখেছেন, মা ও ছেলের ভালোবাসা চিরন্তন এবং অমূল্য। মোদীজি, এই কঠিন সময়ে আমার ভালবাসা এবং সমর্থন আপনার সঙ্গে আছে। আমি আশা করি আপনার মা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন।

টুইটটি ভাইরাল হয়েছে

রাহুল গান্ধী বিকেল ৩.০৪ মিনিটে এই টুইট করেন। এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে এই টুইট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভীষণভাবে ভাইরাল হয়ে গেছে। যেখানে ২.৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ এই টুইটটি দেখেছেন, সেখানে ১৬ হাজার মানুষ লাইক করেছেন। শুধু তাই নয়, ৩১০০ জনেরও বেশি মানুষ এটিকে রিটুইট করেছেন। এই টুইটের উত্তর দেওয়ার সময়, ব্যবহারকারীরাও রাহুলের প্রশংসা করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর মা শীঘ্র সুস্থ হয়ে ওঠার প্রার্থনা করেন।

 

বুধবার হঠাৎ করেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর মা হীরাবেনের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। হীরাবেন, যিনি সম্প্রতি জুন মাসে ১০০ বছরে পা দিলেন। তাকে অবিলম্বে আহমেদাবাদের ইউএন মেহতা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সিনিয়র চিকিৎসকদের একটা গোটা টিম তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।

মায়ের ১০০ তম জন্মদিনে গান্ধীনগরে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই উপলক্ষে খুব আবেগঘন ব্লগও লেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী লিখে ছিলেন, 'আজ আমি আমার সুখ, আমার সৌভাগ্য আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চাই। আমার মা, আজ ১৮ই জুন শতবর্ষে পদার্পণ করছে। তার মানে তার জন্মশতবর্ষ শুরু হচ্ছে। বাবা আজ বেঁচে থাকলে গত সপ্তাহে তিনিও ১০০ বছর বয়সী হতেন। মানে ২০২২ এমন একটি বছর, যখন আমার মায়ের জন্মশতবর্ষ শুরু হচ্ছে এবং এই বছর আমার বাবার জন্মশতবর্ষ পূর্ণ হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লিখেছেন, 'গত সপ্তাহে আমার ভাগ্নে গান্ধীনগর থেকে মায়ের কিছু ভিডিও পাঠিয়েছে। এলাকার কিছু ছোট ছোট ছেলে ঘরে এসেছে, চেয়ারে বাবার ছবি রাখা হয়েছে, ভজন কীর্তন চলছে আর মা গান গাইছে, মঞ্জিরা বাজাচ্ছে। মা এখনও একইরকম আছে। শরীরের শক্তি কমে গেলেও মনের শক্তি আগের মতোই রয়েছে তাঁর।