সংক্ষিপ্ত
রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা। তলব করল কর্ণাটকের আদালত। সঙ্গে তলব করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীকে ।
আবারও মানহানি মামলার ফাঁসে আটকাতে চলছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শুধু রাহুল গান্ধী নয়, কর্ণাটক কংগ্রেসে আরও দুই নেতা সিদ্ধারামাইয়া ও ডিকে শিবকুমারের বিরুদ্ধেও মানহানির মামলা দায়ের করেছেন এক বিজেপি নেতা। সেই মামলাতেই ইতিমধ্যেই তিন নেতাকে তলব করেছে মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।
৯ মে কর্ণাটকের বিজেপির রাজ্য সম্পাদক কেশবপ্রসাদ একটি মামলা দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল গত ৫ মে ২০২৩ সালে সংবাদপত্রে ছাপা কংগ্রেসের বিজ্ঞাপণ নিয়ে। সেখানে কংগ্রেস দাবি করেছিলে রাজ্যের তৎকালীন বিজেপি সরকার ৪০ শতাংশ দুর্নীতির সরকার। গত চার বছরে দেড় লক্ষ কোটি টাকা লুঠ করেছে। যদিও কংগ্রেস কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি হারিয়ে দুর্নীতিকেই ইস্যু করে। ইস্তেহার থেকে প্রচার সর্বত্র বিজেপির বিরুদ্ধে এই ইস্যুতেই লড়াই করেছিল কংগ্রেস। যাইহোক কর্ণাটকে এখন কংগ্রেসের সরকার। তারই মধ্যে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আগে থেকেই গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে দুটি মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গুজরাট আদালতে মামলা চলছে। মহারাষ্ট্রের আদালত রাহুল গান্ধীকে শারীরিক ভাবে হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত রেখেছে।
গত ২৩ মার্চ সুরাটের আদালত মোদী পদবী ইস্যুকে দায়ের হওয়া চার বছর পুরনো মানহানি মামলায় রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। একই সঙ্গে তাঁকে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। তিনি সুরাটের দায়রা আদালতে ম্যাজিস্ট্রিয়াল আদালতের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন যা দোষী সাব্যস্ত করার জন্য তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল যা তার এমপি হিসাবে পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করেছিল। দলটি বলেছে দায়রা আদালতের আদেশকে আগামী সপ্তাহে গুজরাট হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হবে। গুজরাটের সুরাটের আদালত বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মানহানির মামলায় দোষী স্থাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। সুরাট আদালতের এই রায় নিয়েই কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে তরজা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস জানিয়ে রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার তারা গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে। অন্যদিকে বিজেপি জানিয়েছে এই রায় গান্ধীদের দর্প চূর্ণ করবে। যাইহোক সুরাটের আদালতের রায়ের মাত্র এক দিন পরেই রাহুল গান্ধীর লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে তাঁকে ২২ এপ্রিল বাংলো খালি করার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেস নেতাও সেই মতই ২২ এপ্রিল তাঁর দুই দশকের পুরনো ঠিকানা ছাড়ছেন বলে সূত্রের খবর।