সংক্ষিপ্ত
রাহুল গান্ধী কালই ছেড়েদেবেন তাঁর তুঘলক রোডের বাংলো। ইতিমধ্যেই বাংলো খালি করার কাজ শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
শনিবার সাংসদ কোটার পাওয়া বাংলো ছেড়ে দেবেন রাহুল গান্ধী। তেমনই বলছে একটি সূত্রের। শুক্রবার তিনি তঁর তুঘলক লেনের বাংলা থেকে অধিকাংশ জিনিস সরিয়ে নিয়েছেন। দিল্লিতে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে আগামিকাল অর্থাৎ শনিবার তিনি লোকসভার সচিবের কাছে ১২ নম্বর তুঘলক লেনের বাংলো হস্তান্তর করবেন। মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন রাগুল গান্ধী। আদালত তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। সেই কারণে লোকসভার নিয়ম অনুযায়ী তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গেছে। বর্তমানে তিনি আর সাংসদ নন। সেই কারণে সাংসদ কোটায় পাওয়া বাংলো ছেড়ে দিতে হবে রাহুল গান্ধীকে।
১২ নম্বর তুঘলক লেনের বাংলোতে প্রায় দুই দশক ধরে বাস করছিলেন তিনি। সূত্রের খবর শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে একটি ট্রাকে করে তাঁর জিনিয়ে অন্যত্র নিয়ে গেছেন রাহুল গান্ধী। আগেই রাহুল গান্ধী তাঁর অফিস সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর মা সনিয়া গান্ধীর ১০ নম্বর জনপথের বাড়িতে। সূত্রের খবর সেখানেই রাহুল গান্ধী তাঁর মায়ের সঙ্গে বর্তমানে রয়েছেন। তবে আগামী দিনে কোথায় থাকবেন তাঁর কোনও নিশ্চিয়তা নেই। রাহুল গান্ধীর সম্পত্তি প্রচুর থাকলেও তাঁর নিজের নামে কোনও বাড়ি বা গাড়ি নেই। তিনি ব্যক্তিগত কাজে পরিবারের সদস্যদের গাড়ি ব্যবহার করে থাকেন।
গত ২৩ মার্চ সুরাটের আদালত মোদী পদবী ইস্যুকে দায়ের হওয়া চার বছর পুরনো মানহানি মামলায় রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। একই সঙ্গে তাঁকে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। তিনি সুরাটের দায়রা আদালতে ম্যাজিস্ট্রিয়াল আদালতের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন যা দোষী সাব্যস্ত করার জন্য তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল যা তার এমপি হিসাবে পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করেছিল। দলটি বলেছে দায়রা আদালতের আদেশকে আগামী সপ্তাহে গুজরাট হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হবে। গুজরাটের সুরাটের আদালত বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মানহানির মামলায় দোষী স্থাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। সুরাট আদালতের এই রায় নিয়েই কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে তরজা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস জানিয়ে রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার তারা গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে। অন্যদিকে বিজেপি জানিয়েছে এই রায় গান্ধীদের দর্প চূর্ণ করবে। যাইহোক সুরাটের আদালতের রায়ের মাত্র এক দিন পরেই রাহুল গান্ধীর লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে তাঁকে ২২ এপ্রিল বাংলো খালি করার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেস নেতাও সেই মতই ২২ এপ্রিল তাঁর দুই দশকের পুরনো ঠিকানা ছাড়ছেন বলে সূত্রের খবর।