সংক্ষিপ্ত
রাহুল গান্ধী নিজের কেন্দ্র রায়বরেলি গিয়ে স্থানীয় চারুভা হনুমান মন্দিরে পুজো দেন। নিজেই হনুমান মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে আরতি করেন।
ধর্ম নিয়ে টানা বিতর্কের মধ্যেই রাহুল গান্ধী মঙ্গলবার নিজের লোকসভা কেন্দ্র রায়বরেলি সফর করেন। যদিও তাঁর সফরের আগেই তাঁর বিরুদ্ধে পড়েছিল পোস্টা। সেই পোস্টারে জানতে চাওয়া হয়েছিল কংগ্রেস সাংসদের ধর্ম কী। নামহীন পোস্টারে রাহুল গান্ধীর মন্তব্য হিন্দু বিরোধী বলেও দাবি করা হয়। পোস্টারে লেখা হয়, 'রাহুল গান্ধী জবাব দিন আপনার ধর্ম কি?' 'হিন্দুদের হিংসাত্মক' বলার অভিযোগও তোলা হয়েছে।
যদিও রাহুল গান্ধী নিজের কেন্দ্র রায়বরেলি গিয়ে স্থানীয় চারুভা হনুমান মন্দিরে পুজো দেন। নিজেই হনুমান মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে আরতি করেন। একদিনের ঠাকা কর্মসূচি নিয়ে রাহুল গান্ধী নিজের কেন্দ্র রায়বরেলি গিয়েছিলেন।
এদিন রাহুল দেখা করেন প্রয়াত ক্যাপ্টেন আংশুমান সিং-এর পরিবারের সঙ্গে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে সিয়াচেনে অগ্নিকাণ্ডে মারা গিয়েছিলেন আংশুমান সিং। ব্যাতিক্রমী সাহসিকতার জন্য তাঁকে রাষ্ট্রপতি সম্মানিত করেন কীর্তিচক্র পুরস্কারে। ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং-এর বাবা রবি প্রতাপ সিং ও মা মঞ্জু সিং কংগ্রেস নেতার সঙ্গে দেখা করার জন্য রায়বরেলি পৌঁছে গিয়েছিলেন। রাহুল গান্ধী তাঁদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেন।
এদিন রাহুল গান্ধী রায়বরেলির শহিদ স্মারক পার্কে শ্রদ্ধা নিবেদেন করেন। তিনি রায়বরেলি এইমস হাসপাতালেও গিয়েছিলেন। এদিন তিনি কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। একটি জনসমাবেশে তাঁর ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।
বিরোধী দলনেতা হিসেবে লোকসভায় রাহুল গান্ধী তাঁর প্রথম ভাষণেই হিন্দু ধর্ম নিয়ে বিজেপি , আরএসএস ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেছিলেন। যা নিয়ে বিতর্কের ঝড় লোকসভার অন্দর ছেড়ে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। কেউ রাহুল গান্ধীর সমালোচনা করেছেন। কেই আবার তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন। এই বিতর্কের মধ্যেই রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়ালেন যোশী মঠের ৪৬তম শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ। যা নিয়ে আবারও নতুন করে বিতর্ক তৈরি হবে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের প্রায় ৮ দিন পরে তিনি বলেন, 'আমরা রাহুল গান্ধীর পুরো বক্তৃতা মনোযোগ সহকারে শুনেছি। তিনি দ্বার্থহীনভাবে জোর দিয়েছিলেন হিন্দু ধর্ম হিংসার আশ্রয় নেয় না, তার ওপর। ' শঙ্করাচার্য আরও বলেছেন, লোকসভায় রাহুল গান্ধীর মন্তব্যে হিন্দু ধর্মের প্রতি কোনও অশ্রদ্ধা নেই। বরং রাহুল যা বলেছেন তা সম্পূর্ণ সঠিক। তিনি আরও বলেছেন, ধর্মের আসল কথা ধারন করা। সেখানে ঘৃণার কোনও জায়গা নেই। স্রেফ হিন্দু নয়, যে কোনও ধর্মের ক্ষেত্রেই একথা সত্যি।