সংক্ষিপ্ত

রাজস্থানে শুরু হয়েগেছে হর্সট্রেডিং 
অভিযোগ অশোক গেহলটের 
শচীন শিবিরের কাছে ফেরার আর্জি 
অধিবেশনে থাকবেন বিদ্রোহীরা 

এখনও স্বস্তি নেই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের। দীর্ঘ টাল বাহানার পর তাঁর দাবি মেনে নিয়ে বিধানসভার অধিবেশনের অনুমতি দিয়েছেন রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র। আগামী ১৪ অগাস্ট রাজস্থান বিধানসভার অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে নিজের বিধায়কদের এখনও বিলাসবহুল হোটেলে রেখেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেও তিনি অভিযোগ করছেন শুরু হয়েগেছে হর্সট্রেডিং। 

বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় অশোর গেহলট অভিযোগ করেন বিধানসভার অধিবেশনের দিন ঘোষণা হওয়ার পরই বাড়তে শুরু করেছে বিধায়কদের দাম। তাঁর অভিযোগ প্রথম দফায় দাম ধার্য করা হয়েছিল ১০ লক্ষ টাকা। পরবর্তীকালে অর্থমূল্য বেড়ে হয় ১৫। আর এখন, আপনি জানলে অবাক হবেন যে  বিধায়কদের জ্ঞিজ্ঞাসা করা হচ্ছে তাঁদের দাম কত? হর্সট্রেডিং-এর হার বর্তমানে ২৫ লক্ষ টাকা বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

অন্যদিনে এদিন অশোক গেহলট নাম না করেই শচীন পাইলট শিবিরকে বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কথা বলেন। তিনি কংগ্রেসের প্রতীকে নির্বাচিত বিদ্রোহী বিধায়করা বিধানসভায় উপস্থিত হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, জনগণের সম্মান রক্ষার্থে তাঁদের রাজস্থান সরকারের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ। 

আর মুখ্যমন্ত্রীর এই অনুরোধ রীতিমত লুফে নিয়েছে পাইলট শিবির। হরিয়ানার রিসর্ট থেকে পাইলট শিবিরের এক বিধায়ক জানিয়েছেন তাঁর রাজস্থান বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দেবেন। ইতিমধ্যেই জয়পুর ফিরে যাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। তবে রাজস্থানে তাঁরা কতটা নিরাপদ তা খতিয়ে দেখছেন। পাইলট শিবিরের বেশ কয়েকজন বিধায়কের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে রাজস্থান পুলিশ। 

গত ১১ জুলাই থেকে দিল্লির কাছে মানেসরের একটি রিসর্টে রয়েছে টিম পাইলট। একটি সূত্র বলছে  বিধানসভার অধিবেশনে তাঁদের যোগ দিতে হবে। তা নাহলে স্পিকার হুইপ অমান্য করার অভিযোগ বিধায়ক হিসেবে তাঁদের অযোগ্য ঘোষণা করতে পারেন। আর এই নোটিশের বিরুদ্ধেই রাজস্থান হাইকোর্টে লড়ছেন তাঁরা।