সংক্ষিপ্ত
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে কিশোরীকে যখন ইটভাটায় ফেলা হয়েছিল তখনও সে বেঁচে ছিল। তদন্তে কিশোরীকে গণধর্ষণের প্রমাণও মিলেছে।
মহিলাদের সাহায্যেই ১৪ বছরের কিশোরীকে ধর্ষন করে ফেলে দেওয়া হয়েছিল জলন্ত ভাটিতে। রাজস্থানের ভিলওয়ারার ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে এমনই তথ্য দিয়েছে ভিলওয়ারার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর মোট ১০ জন জড়িত ছিল ঘটনায়। তাঁদের মধ্যে ছয় পুরুষ এবং চার মহিলা। এই চার মহিলার মধ্যে রয়েছেন অভিযুক্তদের মা, স্ত্রী ও বোন। ঘটনায় নাম উঠেছে এক নাবালকেরও। ভিলওয়ারার পুলিশ সুপার আদর্শ সিধু জানিয়েছেন,'এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।' ধৃতদের মধ্যে রয়েছে কালু লাল, কানহা, সঞ্জয় কুমার এবং পাপ্পু। এরমধ্যে কালু লাল ও কানহাই হল মূল অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে কিশোরীকে যখন ইটভাটায় ফেলা হয়েছিল তখনও সে বেঁচে ছিল। তদন্তে কিশোরীকে গণধর্ষণের প্রমাণও মিলেছে। পুলিশ জানাচ্ছে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের যাতে মৃত্যুদণ্ড হয় তারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বুধবার বিকেলে মাঠে গবাদি পশু চড়াতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি ১৪ বছরের কিশোরী। রাত হয়ে গেলেও মেয়ে বাড়ি না ফেরায় তাঁর সন্ধান শুরু করে পরিবারের লোকজনেরা। কিশোরীর খোঁজ চালায় পুলিশও। অবশেষে গ্রামের এক জায়গায় কিশোরীর হাতের ভাঙা চুরির টুকরো মেলে। গ্রামের ওই জায়গায় রয়েছে পাঁচটি কয়েলার চুল্লি। সেই চুল্লির ভেতর থেকেই মেলে কিশোরীর দেহ। গ্রামসীর অভিযোগ গণধর্ষণের পর কিশোরীকে ওখানে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। জলন্ত চুল্লিতেই জীবন্ত ঝলসে যায় ১৪ বছরের ওই কিশোরী। অনেকেরই অভিযোগ তল্লাশী চালালে ওই জায়গায় আরও মৃত দেহ পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। সংগ্রহ করা হয়েছে নমুনা। ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।