সংক্ষিপ্ত
রাজস্থানে সরকার ভাঙাতে চাইছে বিজেপি
অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলতের
শচীন পাইলট ও অনুগামীরা রয়েছেন দিল্লিতে
পাইলট যাতে সিন্ধিয়া না হয় সেদিকে দেখবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব
বেশ কয়ক দিন ধরেই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলত অভিযোগ করে আসছিলেন যে বিজেপি তাঁর সরকার ভাঙাতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সদ্যোসমাপ্ত রাজ্যসভার নির্বাচনের সময়ও অশোক গহলতের এই অভিযোগ ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজস্থানের রাজনীতি। দলীয় ঐক্য অটুট রাখতে কংগ্রসে শুরু করেছিল রিসর্ট রাজনীতি। দলের সব বিধায়কদের রিসর্টে রেখেছিল কংগ্রেস। কিন্তু তারপ মাস ঘুরতে না ঘুরতে আবারও সেই অভিযোগ অশোক ঘনিষ্টদের। এবার অশোক ঘনিষ্ঠদের নিশানা উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট।
অশোক গহলতের ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ বিজেপিতে যাওয়ার জন্য নাকি পা বাড়িয়ে রয়েছে রাহুল ঘনিষ্ট শচীন পাইলট। পদ্ম শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি যোগাযোগও করেছেন। শচীনের বিরুদ্ধে তাঁদের আরও অভিযোগ রয়েছে। গহলত শিবিরের অভিযোগ রাজ্য নেতৃত্ব এমনকি অশোক গহলতকেও অমান্য করছেন শচীন। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি শচীন ও তাঁর অনুগামীরা।
সূত্রের খবর রাজস্থানের জট কাটাতে শচীন পাইলট ও তাঁর অনুগামীরা জাতীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও নাকি বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করবে বলে জানিয়েছে। সূত্রের খবর কংগ্রেস হাইকমান্ড সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী ঘনিষ্ট মহলে জানিয়েছেন ভোপালের পূনরাবৃচত্তি হবে না জয়পুরে। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে রাজস্থানে কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলা হবে বলেও সূত্রের খবর।
ইতিমধ্যেই দিল্লি চলে এসেছেন শচীন পাইলট। তাঁর বেশকয়কজন অনুগামী বিধায়ক দিল্লিতে রয়েছেন। রাজস্থান পরিস্থিতি নিয়ে তাঁরাও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে শনিবার রাতেই দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলত।
বিধায়ক হওয়ার সাধ ছিল বিকাশের, রাজনীতির ছত্রছায়ায় থেকে সাম্রাজ্য স্থাপন করেছিল গ্য়াংস্টার ...
করোনা নিয়ে অভয় দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক, মৃত্যুর হারকে ঢাল করে লড়াই কেন্দ্র সরকারের ..
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগেই কংগ্রসের দখলে এসেছিল রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়। কিন্তু জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বেশ কয়েকজন অনুগামী কংগ্রেস বিধায়ক নিয়ে দল বদল করে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় ক্ষমতা হারাতে হয় কমলনাথকে। অশোক গহলতের অভিযোগ মধ্যপ্রদেশে অপারেশন কমল সাফল্য পাওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রী ও স্বারাষ্ট্র মন্ত্রী নজর দিয়েছেন রাজস্থানের দিকে। তাই সেখানেই শুরু হয়েছে সরকার ভাঙার খেলা। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে এখনও বিষয়টি নিয়ে কোনও প্রতিক্রায়া দেওয়া হয়নি।