সংক্ষিপ্ত
- সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের পথ প্রশস্ত
- এখন চলছে ট্রাস্ট গঠনের পালা
- কবে থেকে শুরু হবে নির্মানের কাজ?
- ভিএইচপির দাবি 'এই পূন্য তিথি'-র থেকে ভালো দিন আর হয় না
গত শনিবার (৯ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারকের সাংবিধানিক বেঞ্চ রাম মন্দির নির্মাণের পথ প্রশস্ত করে দিয়েছেন। তাঁদের রায়ে রামলালা বিরাজমানের হাতেই গিয়েছে অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমির মালিকানা। অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে তিন মাসের মধ্যে এই মন্দির নির্মাণের জন্য একটি ট্রাস্ট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিনের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে তর আর সইছে না হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির। ট্রাস্ট গঠনের আগেই রাম মন্দির নির্মাণকাজ শুরু করার দিনক্ষণ ঠিক করে ফেলেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন - কারা নির্মাণ করবেন রামমন্দির, যোগীকে মাথায় রেখে তৈরি ব্লু প্রিন্ট
আরও পড়ুন - রামমন্দিরের স্বপ্নে ২৭ বছর ধরে চা আর কলা খেয়ে আছেন বৃদ্ধা, রায়েও ভাঙল না তপস্যা
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতে আগামী 'রাম নবমী', অর্থাৎ রামের জন্মতিথি থেকেই রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হওয়া উচিত। ২০২০-তে রাম নবমী পড়েছে ২ এপ্রিল তারিখে। অর্থাৎ ২ এপ্রিল ২০২০ থেকেই অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করতে চাইছে ভিএইচপি। প্রাক-নির্মাণে কাজ শুরুর জন্য বাছা হয়েছে 'মকর সংক্রান্তি'তিথি।
আরও পড়ুন - রামমন্দির নির্মাণের জন্য তহবিল সংগ্রহ করছেন মুসলিমরাই, ইতিমধ্যেই উঠেছে ৫ লক্ষ টাকা
আরও পড়ুন - ৩৭০ ধারা বাতিল ও রামমন্দির-এর লক্ষ্য পূর্ণ, রইল বাকি 'তৃতীয় কাজ'
সংগঠনের এক বিশিষ্ট নেতা বলেছেন রাম জন্মভূমিতে মন্দিরের নির্মাণকাজ সূচনা করার জন্য এর থেকে আর কোনও ভালো দিন হতেই পারে না। ট্রাস্ট গঠনের জন্য তিন মাসের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। তা ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হবে। তার মধ্য়েই সমস্ত প্রস্তুতি সেড়ে ফেলা হবে। তবে, ওইদিনই যে নির্মাণ কাজ শুরু হবে, তা সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করতে চাইছেন না তাঁরা।
তবে একটি বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিতভাবে জানিয়ে দিচ্ছেন, মন্দিরটি তৈরি হবে আর্কিটেক্ট চন্দ্রকান্ত সোম্পুরা তৈরি নকশা অনুসারে। বর্তমানে ৭৬ বছর বয়সী চন্দ্রকান্ত সোপুরা, ১৯৮৯ সালেই ভিএইচপি-র প্রাক্তন প্রধান অশোক সিংঘলের অনুরোধে এই নকশাটি তৈরি করেছিলেন। সেই নকশার ভিত্তিতে তৈরি রাম মন্দিরের একটি মডেল অযোধ্যার করসেবকপুরমে রাখা আছে। এবার সেই মডেলের বাস্তব রূপ পাওয়ার পালা।