সংক্ষিপ্ত

ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সংস্থা আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই একটি কেন্দ্রীয় নৃতাত্ত্বিক গবেষণা পরিষদ গঠন করে যারা এতদিন রাম সেতুর অস্ত্বিত্ব ছিল কিনা তা নিয়ে গবেষণা করছিলেন এতদিন। অবশেষে মিলল তার পরোক্ষ প্রমান

ভারত এবং শ্রীলঙ্কার মাঝে ভারত মহাসাগরে নিমজ্জিত ওই ‘সেতুর আকারের ভূখণ্ড’ প্রাকৃতিক না কি মানুষের তৈরি, তা নিয়ে বিবাদ দীর্ঘদিনের। বছর কয়েক আগে মোদী সরকার জানিয়েছিল, রাম সেতুর বয়স নির্ধারণ করতে গবেষণা ও পরীক্ষানিরীক্ষা করা হবে। জিতেন্দ্রর নিয়ন্ত্রণাধীন ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সংস্থা আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই একটি কেন্দ্রীয় নৃতাত্ত্বিক গবেষণা পরিষদ গঠন করে । গবেষণায় যুক্ত ছিল গোয়ার কেন্দ্রীয় সমুদ্র বিজ্ঞান কেন্দ্রও।এবার তাদের দাবি যে রামসেতুর পরোক্ষ প্রমান পেয়েছেন তারা।

কিন্তু সেতুটি প্রায় ১৮ হাজারেরও বেশি পুরোনো হাওয়ায়। গবেষণার ফল সেভাবে না মিললেও , কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান এবং মহাকাশ গবেষণা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ জানান ‘মহাকাশ প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা টুকরো টুকরো দ্বীপগুলিকে খুঁজে পেয়েছি। চুনাপাথরের তৈরি ওই দ্বীপগুলি দেখে নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না, সেগুলি কোনও সেতুর অংশ কি না।’ তবে চুনাপাথরের ওই কাঠামোগুলি ‘নির্দিষ্ট ধারাবাহিকতা’ মেনেই অবস্থান করছে বলে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্রর দাবি। আর তাকেই রাম সেতুর ‘পরোক্ষ প্রমাণ’ বলে দাবি করছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারের দীর্ঘ দিনের দাবি, তামিলনাড়ুর ধনুষ্কোটি থেকে পক প্রণালী ধরে শ্রীলঙ্কা পর্যন্ত জলে ডুবে থাকা পাথরের সেতু প্রাকৃতিক নয়, মানুষের তৈরি। ইউপিএ সরকার পক্ প্রণালীতে ড্রেজিং করে জাহাজ চলাচলের পথ তৈরির একটি প্রকল্প নিয়েছিল, যার নাম ‘সেতুসমুদ্রম’। কিন্তু বিজেপির বরাবরের দাবি ছিল যে এটি ইতিহাস অনুসারে মানুষ ও বানরদের তৈরী করে একটি সেতু। এই বিষয়টি প্রমান করতেই তারা মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন এতদিন। অবশেষে এমন পরোক্ষ প্রমান পেয়ে যারপরনায় খুশি গেরুয়া শিবির ও তার সমর্থকেরা।